এখন আর কেউ গুলতি মেরে জ্বল এনে দেয়না চোখে
চড়ুইভাতি উৎসব হয়না পানের বরজের পিছনে গোপন আস্তানায়
তবে কি বড় হয়ে গেছি কালের ঘোড়ায় পা রেখে?
কেন বউ-জামাই খেলার নাম করে কেউ অকারনে অভিমান করেনা?


কত ভালো ছিল সে অর্থহীন দস্যিপনার ঘর্মাক্ত সৌন্দর্যের কারুকার্য
পলে পলে বদলে গিয়ে আজ হয়েছি কারও কাছে গোস্তের দলা
মনেতে বাউলা সুর আর পেটে ক্ষুধার অহর্নিশি জ্বালা
কবিতা গলার রুমাল হয়ে মােছে বেকারত্বের লালা।


অর্থ বিত্ত, সম্মান, প্রতিপত্তি, অস্ত্র কোনটাই চাইনে হে অর্ন্তযামী
দু হাতে দুটি নিষ্কলঙ্ক চাঁদের টুকরো থাকে যেন  মোর সাথী
এ দীনের দুনিয়া হোক বড় শ্বাপদসংকুল, একটুও ডরাইনা যেন
পিছুটানকে মেনে নিয়ে চলব হাতে নিয়ে সাহসের যৌবনবতী বাতি।