জলীয় স্বাধীনতা
(স্বাধীনতাকে আমি যেভাবে দেখি-১)


শব্দগুলো পাতিহাঁস হয়ে ইচ্ছের পুকুরে খাবি খায়,
যৌবনপ্রাপ্ত গাছটি সামান্য বাঁকা হয়ে ছায়া দিলে,
শেওলা পড়া ঘাটে ছোট মাছ নাইওর যাবার জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
অলস জীবনের সময় হত্যা করার উত্তম হাতিয়ার
বঁড়শি ফেলে ক্ষুধার্ত মাছকে ফাঁদে ফেলার অহংকার।
তখন তরঙ্গ সৃষ্টি করে অপ্রস্তুত গৃহবধূ জলে নামে,
ওপারে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে দৃশ্য গিলে খায় বখাটে শরীর প্রেমিক।
পূর্ব বার্তা ছাড়াই উড়ে এলো বেহায়া মেঘ,
সঙ্গী হলো ঝড়ো বাতাস,
বৃদ্ধ পাতা আর অতি আগ্রহী পাতাগুলো পুকুরে দিলো ঝাপ,
একা হয়ে গেলো গৃহবধূ।  
ছমছমে দুপুরে এমন আকস্মিক পরিবর্তনের প্রভাবে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
শূন্যে মুখ তুলেই যেনো উড়িয়ে দিলো নিজেকে,
মুখে উড়ে উড়ে পড়ছে হিম জল ফোঁটা,
শিহরিত হচ্ছে প্রতিবারই, প্রতি ফোঁটায়।
পবিত্র আবেশে ডুব, ছেড়ে দিলো শরীর,
ভেসে রইলো পৃষ্ঠদেশ বৃষ্টি কে উৎসর্গ করে।
তিনটি হাস ছানা পিঠে বসে খাদ্যের সন্ধানে যেনো চষে যাচ্ছে।
কিলবিলে অনুভূতিটা নিখুঁতভাবে অনুভবে সন্তর্পণে ছেড়ে দেয় শাড়িটুকু,
এবার খুব ধীরে চিৎ হয়ে উদোম শরীর উৎসর্গ করার পালা।
বৃষ্টি, হাঁস আর পাতা এমন করে ছুঁয়, কেউ ছুঁয়নি আগে।
এমন করেই স্বাধীনতা শরীরে আসে।
এমনভাবেই স্বাধীনতা জলে মিসে রয়।


#জামশেদ
#রোমেল
স্বাধীনতার মাস, ২০১৯ ইং