একটি পেন্সিল নিয়েছিলাম আঁকবো বলে,
আঁকিবুঁকি গুলো শব্দ হয়ে গেলে।
কি! অবাক হচ্ছো।
আমার এমনি, একটা করতে গেলে আরেকটা হয়।
প্রেম লিখতে দ্রোহ,
স্বপ্ন লিখলে মোহ।


দেয়ালে ঝুলে থাকা মাকড়সা একসময় যুবতী হয়ে বুক চিড়ে বাড়াতে থাকে তার প্রজন্ম।
আমার স্বতন্ত্র স্বত্বার তেমনি কোন ক্ষণজন্ম।
টিকটিকি থেকে ভবিষ্যৎ জেনে নিয়ে মিশে যাই পিপড়েদের দলে।
ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার আবাস পেঙ্গুইনের থলে।


বুকের কোন এক পাশে নাকি হৃদয় থাকে,
সেই পেন্সিল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার অস্তিত্ব খুজি।
রক্ত রঙয়ের কালি দিয়ে ক্যানভাস ভরিয়ে দেই।
ক্লান্তি শিরায় শিরায় ছড়িয়ে একসময় চোখ বুজি।
ঘুমের মতো কিছু একটা ভুলিয়ে ভালিয়ে স্বপ্ন দেখাতে চায়।
আমি আতংকিত হয়ে যাই,
স্থবির হয়ে যাই,
বিশ্বাস করো এগুলো একটাও সত্যি নয়।
আমি, তুমি, আমার, আমাদের পৃথিবী এমন নয়।
কেমন যেনো নেশার মতো লাগে,
ভরপেট মদ গিলে হরহর করে রক্ত বমির পর যেমনটা হয়।
বিস্বাদ এক ভালোলাগা।
ভয়ংকর নোংরা এই শহরটাকেও তিলোত্তমা মনে হয়।
এগুলো কিছুই সত্যি নয়।
মহাবিশ্বে আমাদের অস্তিত্বের মতোই কৌতুক।
ইশ্বরের খুব সরল কৌতুক।
আমি হাসতে হাসতে একসময় রাস্তায় ফেলে রাখা ভ্যানগাড়িতে শরীর এলিয়ে দেই।
এখন শুধু সফেদ শাড়ি পড়া একজন অশরীরী,
একটি অন্ধ কুকুর,
আর ঘুমে টইটুম্বুর একজন প্রহরী।


এভাবেই আমার পেন্সিল এলোমেলো হয়ে যায়,
আঁকাবাঁকা হয়ে যায়।
নদী না হয়ে ড্রেন,
গাছ না হয়ে ল্যাম্পপোষ্ট,
আকাশ না হয়ে ধোঁয়া,
পানি না হয়ে মদ।
আর আমি, হারিয়ে ফেলা আমি রয়ে যাই।
পেন্সিলে আঁকা পাপগুলো আমার বাতাসে কোথাও-
পাখিদের ডানায় উড়ে উড়ে আবাস খুজে বেড়ায়।


#জামশেদ
#রোমেল
১ কার্তিক, ১৪২৫ বাংলা।