নীলাকাশের ঐ শুভ্র মেঘ গুলো হাওয়ায় সাঁতরে যাচ্ছে
বহু দুরে এ দেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে
গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখি শুভ্র মেঘেতে
রক্ত জবার রক্তিম রঙে আছে লেখা
"আমার মা"।
হাওয়ায় ভেসে ভেসে চলে গেলো সে মেঘ বহুদুরে
আমার দৃষ্টি-জ্যোতির আড়ালে ,
চেয়ে দেখি আরেক মেঘের পাণে
আসছে সে মেঘ স্বর্গীয় রথ সেজে
কি সুন্দর-ই না তা লাগছে
আকাশটা সেজেছে স্বপ্নীল দারুণ রঙে ।
ঐ মেঘ রথেতে স্নেহের খামে আছে লেখা
আমার দরদী মায়ের চিঠি
ঐ চিঠি গুলো আলো বিলায়ে আলোকিত করে মন
মায়ের মমতাময়ী আঁচল তলে হাজার শান্তি ।
মাগো! বহুদিন হলো দেখি না তোমায়
স্নেহে-পিপাসু এই মন স্নেহের আশায় ছটফটায়
এই ইট কাঠের প্রাণহীন শহরে লাগে তো ভালো
বারে বার পল্লীর নীড়ে স্বপনেতে যায়-
আমার মায়ের কাছে ।
কে আছে আর মায়ের মতন এমন দরদী
নিজের কথা ভাবে না--ভাবে সন্তানের লাগি,
মায়ের মুখ-খানি দেখলে থাকে না যাতন
বন্ধ মনে খুলে যায় সুখের বাতায়ন ।
এসেছি বহুদুরে মাকে ছেড়ে চাকরি করিতে
বিরহ-মনে ভাবি
কবে পাবো ছুটি
বাড়ি গিয়ে দেখবো মায়ের সোনা মুখ-খানি ।
আমার মায়ের শান্তির কোলে
মাথা খানি রেখে
জুড়াবো পরাণ আমার
থাকিবে না দুঃখ কোনো আর ।