হাতে হাত রেখে হেঁটে যাই দূরে যেখানে নদীর জল
চুমে আকাশের ঠোঁট লজ্জা রাঙা মুক্তি তে উচ্ছল!
পলিমাটি যত চুপি চুপি তার হৃদয়ে পদার্পণ
নব নব তার সুখের পরশ গুঞ্জে অনুক্ষণ!
তারপর এসো বসে থাকি পাশে লহর দুজনে গুনি
লহরে লহরে মিলে মিশে গেলে আত্মার বানী শুনি।
কূজনে কূজনে বিহগের দল বেহাগ গগনে বিলায়
হাতে হাত রেখে হেঁটে যাই দূরে যেখানে সাগর মিলায়।


সাগরের জলে ঝিকিমিকি তারা! তারা রা পড়িছে খসে
হাতে হাত রেখে নির্বাণ সুখে তোমার সমুখে বসে
খোলা রাখা বই পোকা কাটা পাতা আমার হৃদয় খানি
পড়ে নাও তুমি চোখে চোখ রেখে আলগোছে বুকে টানি।
তারপর এসো বসে থাকি পাশে প্রহর দুজনে গুনি
প্রহরে প্রহরে রাত নেমে এলে শুনি নির্জনতার ধ্বনি।
ঘুম চোখ খুলে জড়তা ফেলে ভোরের আলোক মেখে
হাতে হাত রেখে হেঁটে যাই ফিরে দুই কামরার সুখে!!  


কবুতর খাঁচা যতনে সাজানো মলিন আসবাবে
দিনগত প্রেম ঝগড়া আপোষে- ঠোকাঠুকি কত রোজকার অভ্যাসে!
ফুটপাথ হতে কিনে আনা শাড়ি – সোনালি ঘড়ির ফ্রেম
ফেলে দিতে পার যেখানে সেখানে – ছড়িয়ে দিয়ো না প্রেম!
তার'চে বরং পাশা পাশি বসে হিসাবের আয়োজন  
ঘুরে আসি চলো কাছে পিঠে কোথা– যেথা প্রয়োজন-
তারপর এসো বসে থাকি পাশে ছোট্ট বারান্দায়
হাতে হাত রেখে চুমু এঁকে দিই আমাদেরই কবিতায়।।