সব চরিত্র কাল্পনিক
========================@==
রাজা সাজা সহজ সে নয় ঝক্কি অনেক জেনো
সাজ-পোশাকেই নষ্ট মেয়াদ বুঝছ’না তা কেন?
দেখছ’না কি ফকির সাজে- এই অধমের দেশে
আবির্ভূত পতিত পাবন- অবতারের বেশে।
ভালোই ছিলেন দশ লাখি সে সুটেড বুটেড শো’তে
রাখলো দাঁড়ি কবিগুরু- বাংলা উদ্ধারিতে!
দক্ষিণে সে অন্য সাজে লুঙ্গী পরে হাজির
সেই লুঙিতেই ধর্ম খুঁজে- তিনিই গড়েন নজীর।
উত্তরে ভোট- নতুন রূপে সজ্জা যে তাঁর চাই
সাধু সাজে গেরুয়াতে জবাব যে তাঁর নাই।
ভস্ম মেখে তিলক কেটে দেবাদিদেব তিনি
খুব নাটুকে বহুরূপী স্বভাবে তাঁর চিনি।
গরুর শোকে কেঁদেই ভাসান; কাঁদলে কৃষক চুপ
মরলে মানুষ ধর্মাবেগে এক্কেবারে মূক।
সংসদে সে প্রণিপাতে শপথ নিলেন খুব
আলোচনায় নষ্ট সময়; অধ্যাদেশেই ডুব।
কেউ করেনি কিচ্ছু হেথায়, বিচ্ছু পাজীর দল
সেই তো শুরু চোদ্দ গুরু উন্নয়নের কল।
সুপার পাওয়ার আমেরিকা তারাও শেষে কাত
ছেচল্লিশের তক্তা ঠুকে বক্তা বাজিমাৎ।
নষ্ট সময় কষ্ট ভীষণ ব্যর্থ চোখের জল
উদ্ধারিতে দেশের চাকা গড়ল গ্যাঁড়াকল।
ইচ্ছে খুশী করের বোঝা আঁটির ওপর সেস
ডুবে ডুবে জলও খেল রইল না তার লেশ।
শুনলে বল সবার কথা রাজ কার্য চলে!
নরম তবে বলবে লোকে নিন্দুকের ওই দলে।
তাইত একা একাই রাজা বিজ্ঞাপনের মুখ
তারিয়ে চাখেন তেলের ডিপোয় উন্নয়নের সুখ।
রাজা মশাই খাটেন খুবই অষ্ট প্রহর দিন
সান্ত্রীরা তাঁর উচিয়ে রাখে সশস্ত্র সঙ্গিন।
হীরক রাজার পুণ্য দেশে মগজ ধোলাই যুত
তবু কি ভাই জাগছে কোথাও উদয়নের ভূত!
সামাল দিতে এসব ইস্যু ভরলে কারাগার
সহিষ্ণুতার অভাব বলে উঠল হাহাকার
ভোট পেতে ভাই ভেক ধরে তাই
চাল চেলেছে দাবার
স্বচ্ছ হতে- লাশ ভাষা জল গঙ্গাতে ওই
ডুব দিয়েছে আবার।।
========================@==