চাইনিজ ভাইরাস এসে অবশেষে-  
জীবনটা ঘেঁটে দিল, চোখ দিল ঘসে।  
মুখে মুখে মুখোশের দাগ গেল বসে-
চেনা জানা মানুষেরা কত গেল টেঁসে।।


                              দেবালয়ে, মসজিদে ইস্কুলে তালা-
                              ঘরে থাক প্রচারে কান ঝালাপালা।
                              বাজারের বাতুলতা তবুও তো আছে-
                              রোজ নেড়া ভিড় করে পুঁটি মাছ বাছে।


শহরের বাবুদের আছে জারিজুরি-
ফোন কলে সটান হোম ডেলিভারি।
অফারের রকমারি পসরা বাহার-
কম দামে পেয়ে যাবে, মহিমা অপার।


                             বড় দের তাও ভাল মোবাইল আছে-
                             নেটফ্লিক্স, এমাজন সুবিধা দিছে -
                             সারা দিন নেটে বুঁদ ওয়েব সিরিজ-
                             আউ-টিং, পার্টি সার্টি সটান খারিজ।


ছোট দের খেলা ধুলা সব গেছে থেমে-
ছুটি ছাটা সারাদিন ভয়ে বসে ঘেমে।  
চুপ করে গাঁট গুনে আঁক কষে মনে-
এই বেলা ফুরাবে আর কত দিনে ?


                            মোবাইলে ক্লাস হয় হেড-ফোনে পড়া-
                            এই নিয়ে দিন রাত বাপে মায়ে লড়া।
                            লেখা পড়া লাটে তুলে মোবাইল দেখ-
                            বই খাতা দূরে রেখে নেটওয়ার্ক শেখ।  


কেউ পেল, কেউ নিলো সুবিধা অপার-
প্রতিদিন দেড় জীবী ডেটার অফার!
আমাদের দেশ দেখি ডিজিটাল হয়!  
মগডালে উঠে কেউ নেটওয়ার্ক পায়।  


                            এক্সাম ফেক্সাম সব রয়ে সয়ে হবে-  
                            মোট কথা আগে ভাগে হান্ড্রেড পাবে।  
                            লেখা শেখা হাবি যাবি কেন দরকার?
                            পাস করা মেন কথা, পাশে সরকার।  


নাম্বার নয় যেন পিঠুলির গুঁড়া-  
সকলের ভাগে ভাগে সমান ছড়া।
এত শত পেয়ে এরা সব খুশি কি?
সব হাতে কাজ চাই, কাজের খবর কি?  


                             জানি আমি ভাল, এটা মাথামোটা প্রশ্ন-    
                             তবু তো করতে হয় পেটে দিতে অন্ন।
                             দেশ চলে মোবাইলে ডিজিটাল ভারতে-
                             ভারতী ভাত চায় দোরে দোরে হাত পেতে।