হুতুম বসে গাছের ডালে চক্ষু দুটি মুদে।                
ভাবছে বসে আঁকবে ছবি- শিল্পী শীতল খুদে।  
ইজেল খানা টাঙ্গিয়ে দিয়ে
রঙ তুলি সব ঝালিয়ে নিয়ে
দেখল চেয়ে- মিলিয়ে গেছে দুগ্ধ সফেন রোদে।  


কি আর করা! তল্পি তুলে আকাশ আঁকে বসে।  
মন্দ কপাল! টুক করে মেঘ পড়ল সেথায় খসে।    
আকাশ কোথায় মিলিয়ে গেল
রঙ তুলি সব ভাসিয়ে নিল
ভাবনা সবই হারিয়ে গেল এক পৃথিবী রোষে!  


ভাবল এবার বর্ষা আঁকে- সকল ইজেল জুড়ে-
অবিশ্রান্ত বৃষ্টি ছাঁটে ভিজল খানিক নিজের অন্তঃপুরে।  
অনিঃশেষে গহীন মনে
স্বপ্ন দেখার বীজ টি বুনে    
কাঁদতে থাকে উদাস চিতে হৃদয় খুঁড়ে খুঁড়ে।      


কাঁদলে কি আর চিত্রলেখা পড়বে ফাঁদে ধরা!
মনস্তাপের আগুন জ্বেলে ইজেল দৃশ্য হারা।  
আবেগ টুকু সামলে নিয়ে
শিল্পী যখন দেখল চেয়ে
হুতুম চেয়ে তাঁরই পানে- বিহ্বল আত্মহারা।      


ভীষণ চালাক হুতুম সে যে, কেমনে দেবে ফাঁকি!        
মাগনা দিয়ে বসিয়ে তাকে পট কি নেবে আঁকি!
তার চে বরং খরচা কর
পয়সা ফেলে মডেল ধর
পাওনা কড়ির এই বাজারে চলবে না কো ফাঁকি।।  
================================================================
এই কবিতার শেষ স্তবক টি প্রিয় কবি শ্রীযুক্ত সুমিত্র দত্ত রায় এর ৩০/০৯/২০২০ তারিখের কবিতা "চালাক হুতুম" এর মন্তব্যে লিখেছিলাম... পরে আরও চারটি স্তবক... লেখাটি প্রিয় কবি কে উৎসর্গ করলাম।