এই কি তোমার সময় হল হাতের ওপর হাত রাখার            
উষ্ণ গরম! ঘামছ ভীষণ!  
                             চাই কি সময় একলা থাকার!


  
ওভাবে ছুঁস না আমায়, কেমন যেন ভয় করে
এভাবে পোড়াস কেন পাগলীরে তুই  
                              গহন ওমের শীত জ্বরে?


এ কি! তোমার কাঙাল হাতে শিকড় বাকড় বটের ঝুরি—  
অক্ষি গোলক কোন কোটরে!  
                                 কোন গহ্বরে বসায় ছুরি?


তোর ঠোঁটও তো জলবিছুটি, বড্ড জ্বালায় অন্তঃপুরে  
যে ভাবে বৃষ্টি আসার গন্ধ নামে
                                 বাদলা পোকার শরীর জুড়ে—  


এখনো কান্না পেলে আকাশ দেখো তেমন করে!  
এখনো বুকের হাড়ে নির্নিমেষে
                                পান্না ধোয়া জ্যোৎস্না ঝরে!  


ওভাবে বলিস না তুই; অন্য মানুষ, বন্য স্বভাব- রিক্ত স্বরে
এখনও কণ্ঠ আমার কীর্তিনাশা    
                                আত্মজকে পণ্য করে
বেচে দিই শরীর, শোণিত, অন্ত্র এবং শ্বাসের বায়ু অবসরে  
অবশেষ আয়ু আমার
                          ঘুণের পোকা খাচ্ছে কুরে –


সে তুমি বণিক হলে, কিংবা শুধুই ভুল বকেছ ধুম জ্বরে  
এখানে দাঁড়াও খানিক বৃক্ষ তলে
                           মুখ রেখে দাও আমার বুকে
যেভাবে সদ্য শাবক গো-শিশুটি ওষ্ঠ রাখে মাতৃ গাভীর বৃন্ত সুখে    
অথবা সন্ন্যাসী হয় যে নদীটি পূর্ণ শশীর শীৎ জোয়ারে  
সেভাবেই ঋদ্ধ কর আগন্তুক এক জাতিস্মরে—।।