ময়ূরাক্ষী-
অনেক দিন পর তোমার চিঠি পেলাম!
কি উজ্বল! কি অপার্থিব উজ্বল অক্ষরে লেখা-
প্রাত্যহিক জীবন যাপন।
কমা দাঁড়ি রেফ র এর ফুটকি জুড়ে-
কত কারুকাজ! তোমার স্পর্শের মতোই একান্ত আপন।
প্রতিটি শব্দকেই ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি-
সুনীল সুগভীর জলরাশি ঘুমে আছে-
টোকা পেলেই ভাসিয়ে নেবে -- তোমারই মতন।  


প্রতিটি লাইনে লিখেছো – অবাক বিস্ময়!
এত দিন পরে – এত কিছু মনে আছে!  
ঘাড়ের পেছনে জড়ুল! বিনুনির নিচে-
একেবারে শেষ বিন্দুতে গাঢ় লাল তিল-
শিকারি চিলের মতই শ্যেন দৃষ্টি --! এখনো তাই -  
লিখেছো — চোখ দেবে গেলে – কাছাকাছি এলে!
এখনো কপট রাগে – সেই তুমি হেসে দিলে।
তুমি তো জান না-
তোমার হাসিতে কতখানি প্রশ্রয় তুমি দিয়ে দিলে!    


পাট ভাঙা বেনারসী শাড়িতে মানিয়েছে দারুণ!
পিসার হেলানো মিনার আরও যেন হেলে গেছে-
পেতে তোমার নরম হাসির পরশন।
অবাক হলে কি! এখনো কবিতা লিখি কিনা?  
লিখি তো! তোমাকে তোমার মত করেই –    
যেমন লিখেছো তুমি তোমার স্ট্যাটাসে –
প্রতিটি অক্ষর ছুঁয়ে ছুঁয়ে – আমি জানি-
লিখেছো প্রাত্যহিক উর্বর জীবন কাহিনী –
শুধু আঙুলের বিলি কেটে হৃদয়ে খোদাই করে দাওনি।।