তোমাকে দেখা স্টেশনের ভিড়ে অযুত জনস্রোতে
সুতনুকা তুমি তড়িৎ ব্যস্ত অনায়াস অজুহাতে।
হাতে রাখা বই, মুখে জমা ঘাম উড়নি হাওয়াতে লোটে
কিশোর হৃদয়ে মলয় রাগিণী- সহসা ফাগুন ফোটে।
গোলাপের কলি ধরে রেখে হাতে, দুরু দুরু বুকে ভয়-
নেবে কিনা তুমি ফিরায়ে দেবে! কি জানি কিবা হয়!  


হাসি মুখে তুমি গোলাপ নিয়েছো! আঙুলে আঙুল ছোঁয়া!
অ্যাড্রেনালিনে ভিজে গেছে মন! এই তবে সুখ পাওয়া!
কখনো দেখা কোচিং এর ফাঁকে গড়িয়া হাটার মোড়ে-
কলেজ কামাই যখন তখন ভিক্টোরিয়ায় ঘুরে!
নিবিড়তা প্রেম কিশোরী-কিশোরে ছোটো খাটো উপহার  
কলেজের প্রেম মিষ্টি মধুর প্রতিদিন প্রতিবার।


প্রতিদিন বাসে রেখে দিতে সিট তোমার নিজের পাশে
যত ভিড় হোক খুঁজে নিতো চোখ! ডেকে নিতে ঠিক কাছে
ঘামে ভেজা শার্ট ময়লা রুমাল সোনালি চুলের কিশোর
কাছ ঘেঁসে বসে বিকেলি আলোয় এক ফালি রোদ্দুর!  
চুপি চুপি কথা শ্বাসে প্রশ্বাসে আলতো আড়াল টানি
চীনেবাদামেই ছুঁয়ে যাওয়া প্রেম জমানো পকেট মানি!  


জমে জমে প্রেম কবিতা খাতায় কতনা স্বপ্ন আঁকে!
কলেজের প্রেম গভীরতা পায়! কেরিয়ার দূরে থাকে-
কলেজের দিন পড়ে এলে শেষে হঠাৎ আবিষ্কার!
চল কেরিয়ার গড়ি, প্রেমের পরশে নতুবা তিরস্কার!  
প্রেমে মজে গেলে কেরিয়ার পারে দূরে দূরে সরে যেতে!  
তার চেয়ে বরং মনের সুখে মলয় হাওয়া তে মেতে
তুলে নাও হাত, ভুলে যাও প্রেম! কাটাকুটি ছবি প্রেমের কবিতাটাতে!


দূরে দূরে আছি অনেক বছর! ভরপুর সংসার
ছুটি ছাটা পেলে ছবি বিনিময়! টুকি টাকি দরকার!
মাখো মাখো প্রেম শরীরে! মননে! কি জানি কোন অনুভবে
সকালে বিকালে খেয়ালি আলাপে কি জানি কোন রূপে ধরা দেবে-
ভালবাসা! শুধু পরশন নাকি দরশন তবুও চাই!
দূরভাষে কভু ভেসে এলে গলা মিলনের সুখ পাই!