(১)
কোজাগরী চাঁদ পেতে আছে ফাঁদ সকল ভুবন জুড়ে
একলা শেয়াল আঙুর ক্ষেতে খাট্টা আঙুর পাড়ে।
খাট্টা আঙুর কাজের কি?
খাচ্ছে কি বা ফেলছে কি?
আসল কথা লোক দেখানো,  পড়বে কারো ঘাড়ে।    


(২)
মিচকি বাঁদর অংক কষে একলা বসে ঘরে
মগের ডালের জামুন পাড়ে বস্তা খানি ভরে।
পাক্কা জামুন রং কালচে
মিষ্টি মধুর তার কলজে
শেয়াল ভায়া রাখছে নজর কলজে খাবার তরে।


(৩)
ঝোপের আড়ে দাঁড়িয়ে শেয়াল নিঃশেষে ঠোঁট চাটছে
আসল কথা যুগের হাওয়ায় গভীর সে জল মাপছে।
ধূর্ত চোখের প্রখর নজর
মানব জীবন হাজার ওজর
ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁপিয়ে দেওয়ার সময় সুযোগ খুঁজছে।


(৪)
ঘূর্ণি জলের গোলক ধাঁধায় জল ঘোলা সব ঘুরছে
জলের জীবন উথাল পাথাল জীব গুলো সব মরছে।
চুপটি করে দাঁড়িয়ে শেয়াল
প্রখর নজর রাখছে খেয়াল
মরার আগেও লড়ছে যারা তাদের মরণ ডাকছে।


(৫)
বাঘের মতো নয়তো কেউ, বাঘের ভয়ে ডাকছে ফেউ
হরিণ ছানা প্রাণের ভয়ে দুদ্দাড়িয়ে ভাগছে কেটে জলের ঢেউ।
জলের তোড়ের পাল্লা কি
জল শুধু নয় বান ডাকি
প্যাংলা শেয়াল শিকার ধরে জলের তোড়ে ভাসলে কেউ।


(৬)
তিন পয়সার ঠিকে ঝি, বেল পাকলে কাকের কি
কাকের স্বভাব জবর খবর বিলিয়ে দেওয়া আবার কি!
খবর জবর বলল কে?
খবর যোগায় বলল সে।
নজর রেখো এসব খবর শেয়াল শুনে ফেলল কি!


(৭)
তিনটে ছাওয়াল ঝগড়া করে একলা হবার তরে
একলা হলে সবার খাবার খাবে অনেক বছর ধরে
একলা হওয়া কাজের কি?
এসব তারা ভাবছে কি?
ধূর্ত শিয়াল চাটছে চোয়াল শিকার ধরার তরে।


(৮)
অনেক শখের মুরগি পোষা জমিয়ে যখের ধন
মুরগি তো নয় পারের কড়ি জীবন সমর্পণ।
জীবন যাপন যেমন তেমন
ঘুমের ঘোরে শান্ত মরণ
শেয়াল ভোজে রোগণ জোশের মস্ত আয়োজন।


(৯)
তোমার আমার ঝগড়া লাগায় লাভের ঘরে কে?
ফেরেববাজে ফায়দা লুটে পিঁপড়ে মরেছে।
আগুন খেলার নিয়ম কিই?
দুয়ার এঁটে খিড়কি দিই-
জাত শেয়ালের গোঁফে তা! মানুষ মারার গন্ধ পেয়েছে।


(১০)
শেয়াল শেয়াল হুক্কা হুয়া ডাকছে বনের ধারে
শেয়াল বসে গপ্পো করে শুকনো নদীর চরে।
শিয়াল ধরার ফাঁদ পাতা
শেয়াল বড়ই লেজ কাটা
গন্ধ শুঁকেই অন্ধকারে পালিয়ে পগার পারে।