ফটর পোড়্যা… বিস্তৃত টাঁক,                    
মুখে চোখে কাঠ ফাটা হাসি হেসে
ক্ষয়ের, সুপুরি, জর্দা- পান মুখে ঠেসে
শিরা ওঠা হাতে জাল বুনে চলে।
জলের রুপোলী শস্য কভু খুঁট দিলে
বিগত যৌবন তার যেন ফিরে পেলে –
টান টান রশি—
অনুভবে অনুমান জলের গর্ভ জাত
মীন রাশি রাশি, সুনিপুণ সেঁতি টানে  
পৌরুষ বিজয় গৌরবে তুলে আনে
পুরুষ্টু গুঁফো রুই, মৃগেল!


ছোপ লাগা দাঁতে -- পোড়া বিড়ি মুখে
রাখে, ধরে, কাড়ে -- মাছের জীবন
অনর্গল বক বক!
সে! নাকি তার মুখ কথা বলে!
ধেনো নয়, কান্ডিস! প্রিয়তম সুপেয় পানে
অশ্বিনী পূর্ণিমার ন্যায় কোজাগরী মেলে ধরা
সমস্ত স্মৃতির কথন! বহুশ্রুত রোমন্থন!
বয়স্কা পোড়া বিড়ি ধোঁয়া ছাড়ে –
মাস পোড়া তিতকুটে ঘ্রাণে –
হয়ত বা ফুসফুস পোড়ে তার জ্বলন্ত দহনে।  


ঘোলা চোখ মেলে ঝিম ধরে বসে- সমস্ত সকাল
আশা – কেউ ডাক দিলে জুড়াবে পেটের আকাল।
ক্ষয়ে যাওয়া মাজা, হাঁটু, যরাহুত চোয়াল-
ঘোলাটে চোখের ভেতরে তার ঝকঝকে মন!
সুতীক্ষ্ণ দার্শনিক প্রশ্ন বাণ—
অকারণে কেন বয়ে চলা এই জীবন জোয়াল?
এত শত কথা, এত বাতুলতা –
নিরন্তর জটিলতা- আপোষ- অভিমান- সব প্রয়োজন?
বেলা শেষে চারপায়া জুড়ে ছড়িয়ে আয়েশে শুয়ে থাকা-
পাকানো ধোঁয়ার ভিড়ে পোড়া বিড়ি! নাকি ফটর পোড়্যা…
কার লাশে লেগে থাকা ঘামে সুগন্ধি ঘিয়ের প্রলেপ আয়োজন?
কেন এই অদ্ভুত! নির্বিকার! নির্লিপ্ত সক্রেটিস অভিযোজন?