আমি তো রয়েছি সেই তোমার সমুখে
মরু ছায়া হয়ে নীরবে প্রবাহী থাকি;  
প্রবহমান থেকেছি –
                      তোমার দু চোখে।
নির্মোক ডানা মেলে ছায়া এনে দিই;  
বুকের পিপাসার রসে বশ্যতা এনে
               আমিও অনায়াস ঠোঁটে বলে দিই—
শান্তির কামনায়- তুমিই সব,
                               তুমিই ঠিক—
সে কথার—
          কোন সুনিশ্চিত সারবত্তা নেই।


অনেক গোধূলি এসে স্থবিরতা সর্বত্র ছড়ালো—
কে দেবে দু হাত ভরে
                      হেমন্তের একরাশ ধূলি ঝড়?
সমুখ জুড়ে প্রবাহিত স্বাদহীন ভয়;
চেয়ে দেখি—
               সারাক্ষণ শুধু মৃত্যু ভয়…
বলে দাও—
কার প্রেমে আরেক শতকে হবো
                                —অতিথি প্রেমিক?


আমি তো রয়েছি সেই ব্যর্থ তিথি'তে  
শ্যামলিমা ছুঁয়ে ব্যাকুলতা থাকে দীপ্যমান  
নির্জন সবুজ অরণ্যে কেঁদে ওঠে  
                           বুকের গভীর বসন্ত কাল
অকথিত যত কথা মরে আছে মরমে
                আজ ফিরে পেতে চাই ব্যাকুলতা
পিছে রুখে দেয় অধোগতি;

অন্ধ চোখে দিবসের কিছু মাত্র মদিরতা নেই
আজ ফিরে পেতে চাই শিশু ভোরবেলা
                   মগ্নতা ছুঁয়ে থাকে অন্তর ভূমি—
ধুসর চর মাথা চাড়া দেয়
পিছে অগণ্য ক্ষুধিত সমুদ্র
                     সমুখে তুমি আছো তাই
নির্মোক চোখ জ্বেলে দিয়ে
মস্তকে নীলাকাশ খুঁজে পাই…।।