এখনকার বর্ষার সাথে জীবনের দারুন মিল খুঁজে পাই আমি। পুরোটা কাল জুড়ে গরম, যেমন সচল প্রাণ। জ্বর এলে ভ্যাপসা গরম পড়ে। বেশি গরম হলে,আবার রাতে ঠাণ্ডা হাওয়া দেয়, বৃষ্টি নামে। বন্ধু মাহমুদ প্রায়ই বলতো, ”আজ খুব গরম পড়েছে রে, দেখিস রাতে বৃষ্টি হবে।” হতোও তাই। এখনো তেমনই হয়। অনেক সংগ্রাম বয়ে আনে সফলতা। কষ্টে যেমন কেষ্ট। দিনের বেলায় বৃষ্টিতে মনে পড়ে  বাচ্চাবেলা। ন্যাংটো হয়ে বাড়ির উঠানে বৃষ্টি উংসব। পিচ্ছিল মাটিতে দাপাদাপি গড়াগড়ি। দোচালা টিনের জলে গা’ধোয়া। কিছু দিন নাতিশীতোষ্ণ, তখন জীবনে আসে আরাম । উপভোগের সময়। যেমন যৌবনে লন্ডনের আবহাওয়া, হালকা গরম কাপড়ে চলে যায়। ক্ষণিকের তরে ফুল ফোটে। কিন্তু ফুল ঝড়ে ঘনঘোড় বরষায়, মুহূর্তে বজ্রপাতে। চৈত্র-বৈশাখে সাইক্লোন। নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়। বর্ষার আগে বা পরেও নিভে জীবনের প্রদীপ।