আমি নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে, চলে এসেছি
এক স্মৃতি-বিস্মৃতির জগতে,
কেউ আমাকে অভ্যর্থনা করে না এখানে,
আমি যে নূতন, সম্পূর্ণ নতুন এখানে,
যেন অতীত অথবা ভবিষ্যতের কোন আগন্তুক!
মন চায় ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে
না পড়া লাইনটা আবার পড়তে,
কী যে ভুল ছিল, কোথায় আছে গড়বড়!?
কেন ভাতৃবিচ্ছেদ, আত্নীয়হীন শত বছর,
কেন আমাদের কষ্টের, বঞ্চনার, অপমানের জীবন!
আমি খুঁজে চলি আনিপুর থেকে লামডিং, ট্রেন লাইন
দেমাগ্রী-আইজলের রাস্তা, যেখানে পথ ছিল হাঁটার,
যে পথে হেঁটেছে আমার পূর্বপুরুষ
সে পথে আমিও হেঁটে চলি, যদি খুঁজে পায় কোন স্মৃতিচিহ্ন?!
আমি শত বছর ধরে নিজেকে খুঁড়ে চলেছি
কোথায় ছিলাম আমি, কোথায় বা পৌঁছবো, গোলাকার দুনিয়া;
হরেক রকম অদৃশ্য বেড়ায় বিভক্ত হাজার বছরের অম্ল-মধুর বন্ধন,
পৃথিবীতে মানুষেরা দিনের পর দিন কি আরো মানুষ হচ্ছে?
নাকি অন্ধকার গলিতে পথ হারিয়ে অদৃশ্য শত্রুর সাথে লড়ছে?
যে চম্পক নগরী ইতিহাসের ধুলিতে চাপা পড়ে আছে,
তার চম্পাকলি কোথায় ফুটেছে, তা কি নিজে ধরা দেয়?
অবহেলায় কোন বনের ধারে সৌরভ ছড়াচ্ছে হয়তো!
আমি পেজারথল, দাইয়ুন বা কমলানগরে দেখেছি কিছুটা আশা,
থিতু হয়ে জিরোবার অবকাশ,
বাকি রয়ে গেল আরেক সীমান্তের ওদিক;
আমি নিজেকে খুঁজতেই থাকি যার কোন শেষ নেই।
আর প্রতীক্ষা করি --
একদিন আসবে, এ পথের নূতন পথিক।