বিবর্তন আমাকে আদি মানব থেকে হাল মানবে উন্নিত করে কি হাল বানিয়েছ! যা কিছু দেখি মনে হয় সবই অজ্ঞানতার অবৈধ শিশু,কুসংস্কারের স্তুপ চিরে অনাদি কাল প্লাবিত করে সভ্যতা ও সংস্কার।মড়কের মোড়ক ভাসিয়ে গন্ধা নালীর প্রবাহ।


ঈশ্বর,তাঁর দূত,দূতের সহকারী,দূতের বাচন ভাষ্যকারী।পদে পদে পদাতিক।হাজার বছর ধরে দিয়ে চলেছে ভুল দিশা।জন্ম,মৃত্য, বিবাহ সব সময় শোনাতে শোনাতে স্বচেতনার মেরুদন্ডটাই ভেঙ্গে দিয়েছে।জাত-পাত,জিন-ভূত,তাবিচ-কবচ,গ্রহ-নক্ষত্র। নতুন ভাবনাবদ্ধ আবহ।


তবে কি পুরোটাই  ভুল!সবই জ্ঞানদহীন অজ্ঞানতা লব্ধ।আগে অন্য কেউ পরখ করার কথা ভাবলো না কেন?আখরোট বাদাম বা ঝুনো নারকেলের মতো নয় তো!না ভেঙ্গে বাইরেটা দেখে জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য,বড্ড কঠিন নীরস কোন পুষ্টি গুন হীন একেবারে কদাকার।


বোধ হয় না। হ্যাঁ কিছু ভুল ভ্রান্তি তো পরগাছার মতো ঝুলে আছেই,তবে এত বড় কাঠামোটা সুঠাম কান্ডের উপর না দাঁড়ালে লক্ষ লক্ষ বছর পরে আমাদের মতো এত  পণ্ডিতের (যারা অব লীলায় বলে দিতে পা্রে,ভুল ভুল ভুল,এ তন্ত্র ভুল,এ রক্ষনশীলতা ভুল।)কি করে আর্বিভাব হলো এবার।


পরগাছা জন্মায়,সল্পায়ু মারাও যায় ।বিশাল বৃক্ষ তার পোক্ত কান্ডের উপর ভর করে শতাব্দীর পর শতাব্দী দাঁড়িয়ে থেকে ফল দেয় ফুল দেয় ছায়া দেয়।বেশ তো আগাছা,পরগাছা ছিঁড়ে ফেলে দাও।ডাল গুলো নক্ষত্র আলোয় অবগাহন করুক।যার তলায় পিতা,দূর দূর প্রপিতামহ লালিত পালিত, অবমাননা কেন তার!


নিজেকে অত্যাধুনিক দেখাবার জন্য সুপ্রাচীন পরম্পরার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে আমরা কি সংস্কৃত!কিছুতেই না,কুবিদ্যার মতো এও এক আধুনিক  কুসংস্কার।