এটা একটা নষ্ট ভ্রুণের গল্প।
দেশে মেতেছে নতুন অভিষেকে,
বাসি শাসক বিতাড়িত কঠিন রণের পরে।
প্রত্যাশাতে আকাশ কুসুম আঁকে।


বিজয় মিছিল সবুজ আবীর মেখে,
খুশীর আসর সবার ঘরে ঘরে।
হঠাৎ করে বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো
শিশু মৃত্যু যেন মড়ক ধরে।
সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদ
খুশীর মেঘে কান্না ভরা জল।
রাজের কাছে আর্ত আবেদন
আমার শিশুর জীবন যেন বাঁচে
রক্ষা করুন একটা কিছু করে।


বিজয়টাকে তারিয়ে তারিয়ে
উপভোগের চলছে আয়োজন
হঠাৎ করে উটকো সমস্যা
রাজের মনে জমছিল ক্ষোভটা
আগে ছিল বদ শাসনের রাজা
ভেবেছিল নতুন রাজে ভালো
এতো দেখে উৎসবেতে মগ্না।
শিশু মৃত্যুর মিছিল বেড়ে চলে,
তবে কোথায় যাবে আর্তজন!
কবে হবে মৃত্যু-নিয়ন্ত্রন!


রাজের মেজাজ তিল মিলিয়ে ওঠে
বলে, আমার মাথায় দায় চাপাতে চাও ?
এখন কেন, ওদের বল গে।
সাবাই জানে এই শিশুদের ভ্রুণ, মাতৃগর্ভে
সঞ্চারিত হয়  বিগত শাসন কালে।
তাই মৃত্যু যদি ঘটেই থাকে কিছু
আমার কি দায়, দোষ তো ওদের।
তবু আমি করছি তো প্রাণপণ।


শিশু হারা মায়ের চোখের জল
স্তম্ভিত হয়, হাসবে না কাঁদবে।
স্তাবকেরা তবুও ঘাড় নাড়ে,
বলে,ঠিক ঠিক ঠিক বলেছেন রাজে।
ধোঁকা খেয়ে আতুর জনে বলে,
কি চেয়েছি কি বা পেলাম ফল!


ভাবছো, বানিয়ে শুধু গল্প বলি
ঢপ দিয়েছি আস্ত।
শোন তবে কানে কানে বলি
এটা কিন্তু গল্প হলেও সত্য।