যখন শহর ঘুমায়-
আমি একা জেগে থাকি ।
বদ্ধ ঘরে মনে হয়-
হতাম যদি নিশাচর পাখি ।


হতাম যদি হিমু, কিংবা কল্পিত কোনো এক-
পথহাঁটা নিশাচর পথিক !
দেখতে পেতাম রাতের রহস্য-
বেড়িয়ে হেঁটে এদিক-ওদিক ।


দেখতে পেতাম ক্ষুধার্ত কোনো এক পথ-শিশু কিংবা বৃদ্ধের-
ঘুমের ঘোরে ক্ষুধার ব্যাকুল ছট-ফটানি ।
কিংবা কোনো কুকুরের পাশে দেখে নিদ্রিত ভিখারিকে-
আসত চোখে মনুষ্যত্বের পানি ।


কিংবা যেত দেখা- মাদকের টানে
জীবনের পথহারা একদল মাতাল
হয়ত দেখা যেত জীবন-যোদ্ধা
কোনো পতিতার সম্ভ্রম ব্যবসার চাল ।


ভাল কিছু হয়ত যেত না দেখা,
সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্নার মত রাত-দিনওতো একা ।
একের থেকে অন্য আলাদা, মিল নেই কারও সাথে ।
দিনের বেলা থাকলে ভাল, খারাপ থাকে রাতে ।


প্রকৃতি যে এই নিয়মেই গড়া-
পাশাপাশি হয় না কখনও দুঃখ-সুখের সহবস্থান ।
সুখ ছেড়ে যায় যে জায়গাটাকে-
সে জায়গাটাই তখনি আবার, হয় যে- দুঃখে ভরা ।


রাতের আঁধারও ঠিক তেমনি-
ঘরের ভেতরে থাকলে আলো, পথটা হয় আঁধার ।
ঘরের জীবনে থাকলেও সুখ-
পথের জীবন হয় বাঁধার ।


রাতের আঁধারে সেই বাঁধাটা বেড়ে আরও,
তবুও কেউ বেঁচে থাকে, মৃ্ত্যুও হয় কারও ।
রাতে ঘরে ঘরে শান্তির ঘুম ঘুমায় মানুষ-জন
আর পথে পথে চলে আরেকটা রাত বাঁচার যুদ্ধ-আজীবন ।


রাতের পৃথিবী এভাবেই- চলছে প্রতিনিয়ত ।
হয়ত রাত রূপ বদলাতে তার, থাকবে বিরত-
তবুও যদি কখনও এর বদল দেখ অল্প,
জানিও আমায়- আশায় আছি জানতে রাতের গল্প ।