.           বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ!
            মনে হয় এক রাজহংস।
            প্লাবিত, সময়ের বদলে-
            বন্যায়, আপনার আদলে!
           যেন এক মৎস কন্যা, বঙ্গে
           আঁকা বাঁকা নদী-খাল অঙ্গে।
          খেয়া পার, নৈকোয়- সানন্দে,
           সজীবতা, প্রাণের আনন্দে।
             মুগ্ধ এ প্রাণ, অনন্যা
           ঔ বুঝি আসছে ধেয়ে, বন্যা-
                     হঠাৎ-
         খেজুর গাছটা হেলে দুলে যায়!
              এক দমকা বাতাসে;
         ভেঙ্গে যায় ডালপালা- বটের,
            মহাময়ী রূপ আকাশে।
                 সর্বনাশা ঝড়,
            বার্তা দিয়ে যায় মৃত্যুর!
ঝরে যায় অকালে হয়তো- অনেক প্রাণ!
             এ তো বিধাতার দান!
                    হে খোদা,
তোমাপানে চেয়ে থাকা অসহায় জ্বলজ্বল আঁখি,
কি কারণে নিমিষেই শ্বাসরোধে নিয়ে যাও ডাকি!


          জানি, পাবনা তাদের দেখা!
কোনদিনও পড়বেনা; তাদের জন্য এ লেখা!
     জীবন থেমে যায়, কলম থেমে যায়;
                অশ্রু ঝরে যায়;
          অসহায় আমি, নিরুপায়!
       বেখেয়ালে নড়াচড়া, ভীরুপায়;
              দাড়িয়েছিলো মা
            আমার একটু পিছে-
           দেখিনি আমি তাকে।
      হঠাৎ থেমে যাওয়া তার স্পর্শে!
          মা বললো, ‘থাম খোকা,
          তুমি তো দেখছি, একা;
বানে ভাসা লোক গুলো আসলেই অসহায়
এ সময়ে মুখগুলো বড় বেশি নিরুপায়;
        অনুভবে মন থেকে- গভীরে,
তুমিও হারিয়ে যাবে আচানক ঐ দূর মহা সমুদ্রে।
  যেখানে চলে যায় অজানা এ ধরার সব প্রাণ
  নীরবে পড়ে রয় অচেনা সুখে আঁকা যত গান’।


        আসলেই, বড় একা মোরা!
          দ্যুতিময়, আগ্রাসী ধরা!



(০৩ জুন, ২০০২#৫২)