ঐ দেখ ঐ আসছে ফের
   অশান্ত এক ঘূর্ণিঝড়,
তরুন-যুবা বাড়াই হাত
   পার হতে দুখ পারাবার।


দুঃসহ এক নীরব বাধা
   ঘিরে আছে আমাদের,
দূর করে সেই অবাধ বেড়ী
   আনবো শান্তি আমরা ফের।
আসলে আসুক ভয় ও বাধা
   শক্ত হাতে করবো জয়,
মিথ্যা গ্লানী নিক না পিছু
   সত্য বাক্যে নাই রে ভয়।
অবিনশ্বরে এক অমিয় দীক্ষা
   করবে রে ভাই মনোহর,
তরুন-যুবা বাড়াই হাত
   দূর করতে দুখ পারাবার।


অন্যের দুঃখে কাঁদবো মোরা
   মুছিয়ে দেব চোখের জল,
সুখের ভাষায় গাইবো গান
   অটুট রেখে মোদের বল।
থাকলে থাকুক হেলায় মেতে
   অন্ধ নেশায় মহা ভুবন,
হাসি মুখে বিলিয়ে দেব
   মিটিয়ে দেব নিজ স্বপন।
“শোন যুবা- শক্ত হও
   সজাগ থাকো- শ্রুতিধর-
সুখের গানে বাড়াও হাত
  স্বপ্নে সাজাও পারাবার”।


আকাশের ঐ ঝরনা ধারা
   মুক্ত মনে ঝরে যাক,
অন্ধ পুরুষ- বিবেকহীনা
   অসাড় হয়ে পড়ে থাক!
বাঁধলে বাঁধুক আপন ডেরা
   অঝোর ধারায় কাঁদবে ঠিক,
আঁধার মাঝে হাতড়ে রবে
   ধিক্ জানাবো; শত ধিক।
আমরা তরুন বাঁধবো বাসা
   আনবো আলো জোছনার,
করবো পার সবারে ভাই
   আঁধার ভরা পারাবার।


সুখের আকাশ নামবে ভুমে
   আসবে না আর ভরা দুখ,
কষ্টের বুলি মুছিয়ে দিলে
   কাঁদবে না আর কোন মুখ।
তরুন মোরা গাঁথবো মালা
   সবার গলে পড়াব আর,
হাতছানি দিয়ে ডাকলে দুঃখ
   চেষ্টা করবো মুছাবার।


(মে ২০০৪ # ৩৬০)