.                  মাগো, তুমি দেখছো কি?
তোমার ছেলে হচ্ছে বড় নিকষ অন্ধকারে,
পাষাণ ঘাতী নিচ্ছে দেখ দিবস বদ্ধ-পাড়ে।
হয়নি তবু ক্ষান্ত ওরা বাড়ছে চাঁটির ভার,
আপন ভূমে যাচ্ছি কেঁদে পুড়ছে ছাতির ধার।
নীরব মোরা সরব ওরা খেলছে পুতুল খেলা,
পথের মাঝে ধুকছি মাগো ভাসিয়ে জীবন ভেলা।
কাঁদছি মাগো পথের মাঝে হারিয়ে পথের দিশা,
চাঁটির ভারে উড়ছি যেন হয়না মোদের পিষা।


একটু খানি সুখের আশা মোদের হৃদয় পানে,
পাষাণ ভূমে কষ্টে কেন অসীম-সীমায় টানে!
সুখের আশা মোদের বুকে “থাকছে ওরাই সুখে”!
মারছে তবু আপন হাতে “বাড়ছে বড়াই মুখে”!
সাঁঝ আকাশে ঝরিয়ে দিয়ে রক্ত-নবীন-ধারা!
ভাবছে ওরা শেষ হয়েছে “মুক্ত পাগল পাড়া”!
“পাগল মোরা, সজীব মোরা, জীবন মোদের খাসা,
আপন হাতে জীবন গড়ি- সচল নাড়ীর আশা”।


জীবন জানি পথের প’রে পথেই মোদের বাস,
তাই বলে কি সুখের তরে স্বপন মোদের নাশ?
স্বপ্ন গুলো হাতিয়ে নিয়ে পথেই বিছায় আর,
ওদের পথে লাল গালিচা মোদের অন্ধকার!
আঁধার মাঝে আলোক খুঁজে হাতড়ে বেড়াই সুখ!
সুখ পাখিটা দেয়না ধরা আউড়ে ভাসাই বুক!
এমন যদি চলতে থাকে অসীম রোলার শুধু,
থমকে যাবে চলার গতি মরুর জীবন ধু-ধু।


ব্যথার ভারে আকাশ ভারী- কাঁদছে পরিস্কার
নীল পাখিটা সময় করে করছে তিরস্কার!
নাইতো বাড়ি নাইতো গাড়ী নাইতো হাঁড়ির টান,
তবুও কেন পাচ্ছি মাগো জীবন-দুখের বাণ!
পথেই আছি পথেই র’ব পথের জীবন বেশ,
একটু খানি খেতে পেলেই মোদের স্বপন শেষ!
কাঁদছি মাগো কাঁদবো মাগো কোনই কষ্ট নাই,
করবে দোয়া মরেই যেন একটু শান্তি পাই।


                          মাগো, তুমি শুনছো কি?
আমরা যদি কেঁদেই মরি শান্তি ওদের হবে?
রাত পোহালে হবেই ভোর বলবে ওদের তবে!


(২২ মে, ২০১৫#৯০৭)