স্বপ্নের অসীম সীমানায়,
আমার দেখা সবচেয়ে প্রজ্জ্বলিত তারা তুমি…
সবচেয়ে শুচি শুভ্র বসন্ত; হিয়ায়…
যার হাসির আভা-
সুপ্ত মনকে জাগিয়ে দিবে নিমিষে,
মুছে যাবে সব দুরাশার জাল-
কোমল প্রেমের বিষময় বিষে!
কেমন করে স্তুতি করি পাঠ,
হৃদয় মোর তপ্ত দুপুর শুন্য স্বপন হাট!
স্তব্ধ চরাচরে।
এ হৃদয়ের শুভ্র ভাষায় কাব্য মহিমায়,
তোমার রূপের অমোঘ সুধা ব্যাপ্ত নাহি হয়-


ঐ ঘন কালো চুলের সৃষ্টির সীমানায়,
মন মাঝি মোর আটকে থাকে সুক্ষ কণিকায়!
সুমিষ্ট রসনায়।
যেন মেঘমালা অনায়সে ঘোরে চোখের ইশারায়।
হৃদয় ছুয়ে যায়!
কোলাহল থেমে রয়-
অস্ফুট স্বরে- যেন হৃদয়-ই আটকে আছে হৃদয়ের পাহারায়।


ঐ মুখের কথা…
যেথায়- হারিয়ে যাবে হৃদয়ের যত লুকানো শত ব্যথা।
অন্তরাত্মায় সমীহ হবে স্বপ্ন-বাসর গাঁথা;
নিমিষে নিরবে।
অমৃত কলরবে-
যেন সুমিষ্ট সব অমীয় সুধা বচনে গেঁথে র’বে।


ঐ ঠোটের কার্নিশে…
লক্ষ কোটি  কবিতার ভাষা  অমর হয়ে ভাসবে-  রসনারই রসে;
যেন ভূমন্ডলের শ্রেষ্ঠ বাণী-
যেন কবির কাব্যের চেয়েও অনেক বেশী দামী
লুকানো ছবিতে। যেন  সুখ-রেখা  সবই র’বে  দু-ঠোটের পরতে..
যেন স্নিগ্ধতার ঘুড়ি-
আমার দেখা স্বপনের মাঝে সবচেয়ে সুন্দরী।
আর যদি ধবধবে সাদাই সুন্দরী হয়-
তবে তুমি সুন্দরী নও-
যদি হৃদয়ের সত্যতা উপলব্ধি  সৌন্দর্য’র  সীমারেখা হয়-
যদি অক্ষির স্থুলতম সুন্দরম আশা সৌন্দর্য’র সীমারেখা হয়-
যদি স্বপ্নের গহীন অরনণ্যতা সৌন্দর্য’র  সীমারেখা হয়-
যদি অপলক চোখের চাহনী সৌন্দর্য’র সীমারেখা হয়-
যদি মোর হৃদয়কে বলতে বলা হয়-
তবে তুমি অনেক সুন্দরী….
এ স্বপ্ন-চরাচরে।
যেথায় স্বপ্নের মেঘমালা প্রেমের প্রোমোদ স্মরে।
আর সুখের যত কাব্য-কথা কবির ভাষায় ওড়ে….


(২৭ ফেব্রুয়ারী-২০১৫ # ৮৮৩)