শূন্যতার ক্যানভাসে আঁকা এক ধূসর শহর, যেখানে
সময় থমকে গেছে, আর স্মৃতিরা ছায়ার মতো হেঁটে
বেড়ায়। বাউরি বাতাস সেখানে এক উদাসীন শিল্পী, সে
তার অদৃশ্য তুলি দিয়ে কল্পনার রং ছড়ায়। পুরনো
বাড়ির জানালাগুলো যেন চোখের মতো তাকিয়ে থাকে,
আর তাদের ফিসফিসানি বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

রাস্তার ধুলো জমা ল্যাম্পপোস্টগুলো যেন নিঃসঙ্গ
প্রহরী, যারা রাতের অন্ধকারে স্বপ্নের জাল বোনে।
চাঁদের আলোয় তৈরি হওয়া ছায়ারা নৃত্য করে, তাদের
অঙ্গভঙ্গিগুলো অদ্ভুত আর রহস্যময়। এক পুরনো
ফোয়ারার জল যেন কান্নার মতো ঝরে পড়ে, আর তার
প্রতিটি ফোঁটায় লুকিয়ে থাকে হারানো গল্পের টুকরো।

বাউরি বাতাস যেন এক যাযাবর পাখি, যে উড়ে বেড়ায়
স্মৃতির আকাশে। সে নিয়ে আসে দূর আকাশের মেঘ, যা ভেঙে পড়ে অশ্রুর মতো। সেই অশ্রুতে ভিজে যায়
শহরের প্রতিটি কোণ, আর জেগে ওঠে  নতুন জগৎ,
যেখানে বাস্তবতা আর কল্পনার কোনো পার্থক্য নেই।

এখানে, ঘড়ির কাঁটাগুলো উল্টো দিকে ঘোরে, আর
প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক অনন্তকালের প্রতিচ্ছবি। বাউরি
বাতাস যেন এক জাদুকর, যে তার মন্ত্রমুগ্ধ ছোঁয়ায়
সবকিছুকে বদলে দেয়। সে তৈরি করে এক মায়াবী
জগৎ, যেখানে স্বপ্নরা ডানা মেলে ওড়ে, আর বাস্তবতা
হারিয়ে যায় এক শিরোনামহীন অজানার গভীরে।
--------------------