এমন একটা কবিতা লিখতে চাই, যে কবিতা কেউ কোনোদিন লিখেনি
যে কবিতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
জালি লাউয়ের ডগার মত লকলক করে বাড়বে
অথবা আশ্বিনা ধানের চারার মতোন ঢেউ কেলিয়ে
কেলিয়ে বাড়ন্ত জলের সাথে পাল্লা দিবে  
যে কবিতার বাঁক বদল
কুসুমের আদুরী হাতের তালুর মতো বৈচিত্র্যময় হবে
যে কবিতার ভাষা
সালাম, রফিক, বরকতের রক্তের মতোন লাল হবে!


কিন্তু কীভাবে লিখবো আমার সেই আরাধ্য কবিতা..?
যে শব্দেরা একটা সময় বর্ষার নতুন জলের মতোন চটুল ছিলো
যে শব্দেরা একটা সময় টুনটুনির মতোন উচ্ছ্বল ছিলো
যে শব্দেরা একটা সময় সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া কিশোরীর মতোন দুরন্ত ছিলো  
সেই শব্দেরাই যে আজকাল সবসময় মুখগোমরা করে রাখে!
সজনে ডালে দোয়েল-কোয়েল-ময়না-টিয়া বসে না
তালগাছের ডালে ডালে বাবুইপাখি আর বাসা বাঁধে না!


যদিও মাঝেমধ্যে নক্ষত্রলোক থেকে সামান্য আলো আসে
কিন্তু সেই আলোতে যুতসই উপমা আর অলংকার আসে না
ওরা কেবলই সমবয়সী আলেয়ার মতো পালিয়ে বেড়ায়
ওরা কেবলই প্রাচীন অশত্থ গাছের ছায়া খুঁজে বেড়ায়
ওরা কেবলই শিমুল-পলাশের আশ্রয় খুঁজে বেড়ায়!


আচ্ছা কুসুম,  বলতো দেখি...
তুমি কি আমার সেই আরাধ্য কবিতা হবে?
তোমার রত্নগর্ভে আবার সালাম, শফিক, বরকতের জন্ম হবে?
হবে... হবে... হবে...?