লোহার রেলপথে পায়ের ছাপ রেখে যে মানুষ
না...না, মানুষ নয়, হাতের স্পন্দন চলে যায় ধোঁয়ার
ভিতর, সেই ধোঁয়া যেখানে ঘুমায় বাঁশির ডাক
ঘুমায় কারখানার চাকা,
ঘুমায় তাদের পেটের হাউমাউ রুটির উপপাদ্য।
আকাশে আজ পতাকার রঙ নয়
জ্বলন্ত সূর্যের শিরায় জমে আছে
এক টুকরো রক্তমাখা ইতিহাস,
শ্রমিকের ঘাম থেকে উঠে আসে ছায়া
ছায়া থেকে শব্দ, শব্দ থেকে আগুন।
হায়! কী আশ্চর্য বাস্তব এই পরাবাস্তব
নেতা নেই, কাঁধে নেই পতাকা,
তবুও একেকটি হাত নির্মাণ করে অদৃশ্য শহর
নির্মাণ করে অনাহারের গগনচুম্বী মিনার।
“পাইপ ফাটছে”—এক মা চিৎকার দেয়
তার বুকের দুধ শুকিয়ে গেছে গ্যাস লিকের মতো
শিশুটা জন্ম নেয় বেতনের ক্যালেন্ডার হাতে
তার প্রথম কান্না—“সংগঠন কই?
এ শহরের দেয়ালে আজও লেখা:
ঘাম ফোটায় সিঁড়ি, আর পিঠে নামে ছুরি।
মে দিবস! তুমি কি আজও কেবল স্মরণপত্র?
নাকি কোনো ঘুমন্ত হাতের হঠাৎ জেগে ওঠা?
তুমি কে—আন্দোলনের গর্ভে মৃতভ্রুণ?
না কি একটি হাতুড়ির টোকায় জেগে ওঠা ভবিষ্যৎ?