ভেবেছিলাম সমস্ত রাত ভরে দুঃখ আঞ্জাম দেবো
হাঁড়ি ভরবো
খালি কলসি ভরবো
ধানের গোলা ভরবো
সমস্ত বাড়িঘর তাও ভরবো
অতঃপর এসবও যখন গলার গলা পর্যন্ত ভরে
যাবে... তখন--
আশেপাশের ডোবা, খাল-বিল, নদীনালা সবকিছু
ভরবো...কোনোকিছুই খালি রাখবো না!


কেনোইবা ভরবো না?
আজকাল খালি থাকার কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা নেই
খালি রাখার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই
এই যেমন ডিকশনারি গুলো শব্দে শব্দে ঠাসা
চায়ের স্টল, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা
এরা সবাই জীবিত অথবা জীবন্মৃত মানুষে ঠাসা!


এরপর আমার আর বেশি ভাবাভাবির দরকার হয়নি
দরকার হয়নি দাঁড়ি, কমা, কোলন, সেমিকোলন...
আমি বুঝে গেছি,
যতক্ষণ দুঃখ আমার সাথী
অথবা আমি দুঃখের সাথী
কেবল ততোক্ষণই আমি মানুষ, বাকিটা সময় মানুষ
না!!