চলো, আমাদের জীবন কুঁড়ে তুলে আনি সর্ষের ভূত
ভালোবাসা নামের দু'একটি সদ্যমৃত শুককীট
মাঝেমাঝে এই চিরচেনা তুমি যখন বড্ড অচেনা হও
বলো......
কী করে তখন স্বাভাবিক থাকে আমার হার্টবিট?


তবুও আমি নিয়তবায়ুর মতো নিয়মিত রাত্রির লাগাম
                                             টেনে টেনে হাঁটি
সংগম অক্ষম নপুংসক পুরুষের মতো শুধু করি
                                                      চাঁটাচাঁটি,
তবুও আমার ভালোবাসা, তোমার ঘৃণায় বাঁচিয়ে রাখি!


পোড়ামাটির কাহিনীর মতো তুমিও প্রায় প্রায়ই বলো,
আজতক তোমার নিজেকে বোঝার সক্ষমতা কই?
মোহান্ধ এই আমি, বলতে চেয়েও বলতে পারিনি.....
শোন, আমি যে এক নিপাতনে সিদ্ধ জলের সই!!


তবে কি তুমিও অর্ধেক নারী
আর বাকি আধেক ঈশ্বরী?


অথচ তোমার মতো আমিও তো প্রশ্নকর্তা  হতে পারি
জানতে চাইতে পারি, কোথায় আমার ভালোবাসার শহর?
বলো দেখি, কীভাবে কাটে আমার এতোসব মৃতপ্রহর?


তবুও কি কভু, জানতে চেযেছি শালি ধানের খৈ,  
জানতে কি চেয়েছি...
একগ্লাস পাস্তুরিত হেমলকে কতো গ্লাস অমৃত থাকে
                                                                সই?
না। জানতে চাইনি.....
কোনোদিনই জানতে চাইনি,
এখন আমি-তুমি কতো যোজনদূর, বৈশ্বিক প্রহর;
যেনো আলাদা দুটি অচেনা বৈদেশিক শহর!


তবুও বিত্তহীন দু'চোখে, বৈভবহীন সমুদ্র রেখে..
সুতিয়াখালির আজন্ম সমান্তরাল রেলপথ ধরে হাঁটি
অলৌকিক জলের আজন্ম তৃষায় সময়ের পা  চাঁটি
কেউ জানে না, এখন আমার বিদেশ...
বুক থেকে মুখ,
তবুও এ যেনো দুর্বোধ্য উপমা, রুপ আর অলংকারে
ঢেকে দেওয়া আমার কবিতার লৌকিক সুখ!


জানি, তুমি এখন আমার বিরহের আকাশ সমুদ্দুর,
আর আমি আমার আখাম্বা
নগরীর উড়াল সড়কে হাঁটা ভালোবাসার খদ্দর,
তবুও আমি ল্যাম্পপোস্টের গাণিতিক আলোতে
ব্লাকহোলের মতো সূচীভেদ্য যোনীপথ দেখি
তবুও আমি কবিতায় তোমার ভেষজ ছবি আঁকি.!