এখনও শোধ দাওনি জন্মান্তরের দেনা, এখনও--!
দেখো, আমি আজো পথের মাঝেই খুঁজে বেড়াই পথের ঠিকানা! অথচ এই শিনশিনে কপট শীত উপেক্ষা করেও তুমি পালিয়ে গেছ, হে যাযাবর পলাতকা!    
পালিয়ে গেছ ভাঙা বেড়ার ফাঁক গলিয়ে, ডিঙিয়ে সিঁদকাটা অজস্র সমাক্ষরেখা!  


একবার ভেবে দেখেছ, কী রেখে গেছ কালান্তর?
ছেঁড়া গোল পাতায় ছাওয়া রুদ্রাণী অবিশ্বাস,
আর শত জনমের করোনার জলপাই বেদনা!
দেখো, এখনও আড়ি পেতে আছে সর্বগ্রাসী মেঘনার
সাত দোযখের পাণ্ডুর নিঃশ্বাস!  


এতো যে ডাকাডাকি, এতো যে আকুতি ভিজে যেতো পারতো যে কোনো বিশ্বস্ত বালুচর;    
আমার সবে ছিল দু’বিঘে জমি,  তারও একবিঘে গ্রাস করে নিলে পাষাণ নিশাচর!  


তবুও এই জলাতঙ্ক বুকে, আতশি পাথর বেঁধে  
এই যে আমার শত অনুনয়, পিছু পিছু কতো দিয়েছি তোমায় ঘুঘু ডাক;  তথাপি তুমি ফিরলে না...
বড় জানতে ইচ্ছে হয়, তুমি আসলে কার..?
তোমার ফেরার সময় হলো না; আর একটিবার--!!