সেদিন মধ্য দুপুরে কাঠফাটা রোদ,
গাড়ির চাকাও বন্ধ
দু'পায়ের বারোটা বাজিয়ে কোনোরকমে
সানকি পাড়া বাজারে পৌঁছতেই দেখি
সব কিছুতেই কেমন একটা দ্বন্দ্ব !
একটানা সুর করে ভিখ মাগছে গুঁটি কয়েক অন্ধ !
জালি লাউয়ের ডগাগুলো জলদ গম্ভীর স্বরে
আবোল তাবোল বকছে
মটরশুটি, কাঁকরোল আর কাঁচকলার মাথা ভীষণ চড়া
এক পা দু'পা করে পেছনে আসতেই টের পাই
মাছের গরম
পাশের দোকানে ঝুলানো মাংসের টুকরোগুলো
আমাকে দেখে পেলো বেজায় শরম!
অজান্তেই দু'হাত চলে যায় অন্ধকার পকেট ঘর
নিমিষেই বুঝতে বাকি থাকে না আমার
আলো আর আঁধারে কে আপন, কেবা পর!


ঝাপসা চোখে তাকাই এদিক ওদিক
আঙ্গুলের কড়ে গুনি মহাজনের হিসাব
জলে ভাসা পদ্ম পাতার মতো
আমিও ভাসি আঁধারে
মনে মনে ভাবতে থাকি
এরচেয়ে ভাল হতো যদি থাকতাম বনে-বাদাড়ে!
কোনোকালে বনসাই, কোনোকালে চিল
যেমন খুশি পাখা ঝাপ্টিয়ে ঘুরে বেড়াতাম
সাধের রনিয়া বিল !


অতঃপর আবারও বাড়াই পা
আবারও মাড়াই আঁধার
আশে পাশে কেউ নেই দু'হাত ধরিবার !!!