রক্ত জবা মুখে মাথায় টোপর দিয়ে
কাক ডাকা ভোরে ঢের আয়েশে ছাড়ি কোমল শয্যা
আলতো হাতে আলগা করি শক্ত বাহু ডোর
লাজ রাঙা চোখে তাকাই এদিক ওদিক; সন্তর্পণে বাড়াই পা
আনমনে টানি আঁচল, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে প্রতিটি পরমাণু
দিবানিশি জড়াজড়ি করি, ছায়া হয় কায়া
অতঃপর অতৃপ্তির সুখ !


অতঃপর-------
সকালের সোনালি রোদে ঝিকি মিকি ঝিলের জল
মেখে দেয় শীতল পরশ ; দেবিকা স্নানে শুচি হই    
চন্দ্রমুখীরে জড়িয়ে ছোট ছোট কদমে যাই এগিয়ে  
বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা গা বেঁয়ে পড়ে; পায়ের তলায়
পিষ্ট ঘাসেরা ভাগ করে নেয় মুঠো মুঠো
  অতঃপর অতৃপ্তির সুখ !


অতঃপর------
মাটির চুলো আগুনের পরশে প্রাণ ফিরে ফিরে পায়
কামনার বহ্নিরা সারেগামাপায় তুলে নিত্য নতুন সুরের মূর্ছনা    
হাঁড়ি পাতিল, ঘটি বাটি, নকশী কাঁথারাও যোগ দেয় মিছিলে
বুকের জমিনে আঁকে একের পর এক আলপনা  
যেমন খুশী সাজে সজ্জিত হয় অবারিত বালুকা বেলা
পথের পর পথ ফুরায়, সফেন সমুদ্রের ক্লান্তি আসে না
আবারও তারে জড়াই বুকে অষ্ট প্রহর
অতঃপর অতৃপ্তির সুখ  !