কল্প লোকের সীমানা ছাড়িয়ে যাব
ধোঁয়া হয়ে হেঁটে যাব পৃথিবীর মাটি থেকে অন্যগ্রহে
মাঝপথে সাগর, পাহাড় মন্থনে অধরা মাছির পরশ পাব
তেপান্তরের মাঠে কঙ্কাবতীর সেই পঙ্খীরাজ ঘোড়ার কথা ভুলে যাব
ভুলে যাব এ মাটির উষ্ণতা, বঙ্গোপসাগরের লোনা জল
অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার আর পূর্ণিমার রূপালি জোসনা
গতিবেগে পরাস্ত হবে আচ্ছন্ন আবেগ, মৌনতার চাদর বিছিয়ে দিবে ভবঘুরে মেঘ
পিছু পিছু ডাকবে আড় বাঁশির সুর, দোয়েলের শিস, কোকিলের কুহুতান
আমি বধির হব, মঙ্গলের নুড়ি পাথর হব, শিশির হব না
ঊষর মনের দোসর হবে ধ্রুবতারা, তুমি অসহায় চেয়ে চেয়ে দেখো
মহাশূন্য আমার ঠিকানা !
দেখো, আমার পায়ের ছাপে নেপচুনের খড়ে মাটি কেমন সুফলা হয়
সূর্যের হাতে উনুন বসিয়ে কেমন সুস্বাদু রান্না করি
বায়ুমণ্ডল ভেদ করে শুঁটকির ভর্তার গন্ধ পৌঁছে যাবে তোমার নাক অবধি
বৃহস্পতির ললনারা সাধু ছলনায় কেমন ভুলিয়ে রাখে আমায়
লক্ষ তারার ফুল পরিয়ে দেব মানস প্রিয়ার সোহাগি খোঁপায়
দিবস যামিনী কামিনী বাতাস আমায় করবে উন্মনা
স্বচ্ছ তোয়া নীল দীঘি জলে এলোচুল দেব বিছিয়ে, শনির রাজকন্যে
হন্যে হয়ে ছুটে আসবে, আমি তোমার কাদা মাটির দিকে ফিরেও তাকাব না
মঙ্গলের সুরার মদিরায় ডুবু পানকৌড়ি হব আমি, ভুলের বাসরে জমাট আসর
হয়ত একদিন ফিকে হয়ে যাবে, তখন বুঝব আমি, তুমি কতটা দামি
মহাবিশ্বের সকল ঠিকানায় পৌঁছে যাবে তুমি কতটা নামী !!