বেয়নেটের প্রতিটি খোঁচায় শুনি
অনাগত শিশুর বোবা হাসি, পাথর মন আরও পাথর হয়
গলে গলে বেরিয়ে আসে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ
বন্দীশালার চার দেয়ালে আঁচড়ে পড়ে বুলেট নিঃশ্বাস
ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, তিতুমীরের অমর আত্মা
নাসারন্ধ্রের ছিদ্র পথে ফিরে ফিরে আসে
ঘাসের থালা দিয়ে যায় ইবলিশের দোসর, নিরুত্তাপ ফাগুনে আগুন লাগে
চোখের দৃষ্টি হয় তরতাজা শেল
ঘৃণার বিষ বাষ্প মিলায় বাতাসে
অজান্তেই লক লকে জিহ্বা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে এক দলা থুতু
চুপ রাও বেয়াদব, হাঁকে মূর্তিমান আজরাইল
খুনের নেশায় আগ্নেয়গিরি হাত চেপে ধরে উল কচুর গ্রীবা
মনে মনে জপ করি ফাঁসির মঞ্চ, হাতের মুঠোয় ধরা নতুন মানচিত্র
দূর্বা ঘাসের কোমল বুকে চার হাত পা ছড়িয়ে দেওয়া সুখ
পাগলিনী যক্ষ প্রিয়ার আধলা মুখ
দু হাতে খাবলাই মাটি, গায়ে মাখি চন্দনের সুবাস
দোয়েল, শ্যামা খিড়কি পথে বিজয়ের সুর তুলে
হাছন, লালন আবার ফিরে আসে
বুক ভরা আকাশ নিঃশ্বাস তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে
অবাক তাকিয়ে দেখে মহাবিশ্ব ,
আমার বুকের জমিনে আঁকা লাল সবুজ চিত্র !