আজিকার এই সারদ বেলা
মহাকাশের মহা ছামিয়ানার নীচে একরত্তি বিল্ডিং ,
ধূসর ছাদ ; মহাকর্ষণের মত টানে সুকোমল বৃষ্টির ফোঁটা
পাগলা ঘোড়ার মত নাচে এই মন, নাচে ময়ূরীর মত মেলে পেখম
বাবা দেখায় অহেতুক সর্দি-কাশির ভয়
পাশের ডোবায় একটানা ডাকে কোলা ব্যাঙ
ফুলের টব গুলো করে বৃষ্টি বিলাস , কাটে ভেংচি আমায়
পূর্ণিমা শশী বসিয়েছে হাট অফুরান স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায়
কবিতারা ছুঁড়ে মারে কলম
আনকোরা খাতা ফেলে দৌড়ায় ছাদে
দল বেঁধে পিছু পিছু আসে টিকটিকির দল
উদোম শিশ্ন মেলে এক সাথে করে হিসু
লজ্জায় লাল হয় বৃষ্টিরা
দূরের ঝোপে মুখ টিপে টিপে হাসে জোনাকিরা
বাদল ধারা শুনায় শাওন সংগীত
নতুন সুর বেড়ায় খুঁজে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ
সিঁড়িতে শোনা যায় বাবার জুতোর আওয়াজ
হৃদপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায় দ্রুত
জালি বেত ভাসে চোখে , অজান্তেই হাত চলে যায় কানে
হাসতে হাসতে বাবা বলে, আসুক বৃষ্টি, আসুক জোরে
মনের যত ময়লা ভেসে যাক পানির তোড়ে ।।