পথে যেতে যেতে কত কিছু--- ধুলোর স্তূপ, অবাঞ্ছিত নুড়ি পাথর
দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, দু একটি গাঙ চিল
পাশের ডোবায় কিলবিল করা অগুনতি জোঁক, সাঁঝের মায়া
আমি চেতনে-অচেতনে হেঁটে চলেছি
পথের পর পথ, ভাঙা চোরা, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মত দিশেহারা
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির বিলাপ, মহাসাগরের বিক্ষিপ্ত ঢেউয়ের প্রলাপ
সুতীব্র ইচ্ছের কলি গুলির না ফুটতেই ঝরে পড়া
খড়ের গাঁদার নিচের পিষ্ট ঘাসের মত ভ্যাবচ্যাকা
একটি একটি সামান্য মৃত্যু, অপমৃত্যুর মিছিলে দিকভ্রান্ত ইচ্ছেরা
অসহায় পথিকের মত তাকিয়ে আছে উদাস বেলা
মাঝে মাঝে কাকতাড়ুয়ার প্রেতাত্মা ঘাড়ের উপর গরম নিঃশ্বাস ফেলে
ভয়ে আমি কুঁকড়ে যাই
ভিতরে জমে থাকা দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত কামনার লেলিহান শিখা
ধপ করে নিবে যায়, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে নিষ্পাপ স্ফুলিঙ্গ
অতঃপর আমি না থাকার মত করে অধঃমুখে পড়ে থাকি
ভিতরের সুপ্ত বাসনা গুলোকে সেন্ট হেলেনায় নির্বাসনে পাঠাই
আর মনে মনে বলি যদি কখনও ফিরে আসো; তবে বারুদ হয়ে এসো
অধিকার প্রতিষ্ঠার বজ্র মুষ্টি নিয়ে এসো
রুশো, লেলিন, ক্ষুদিরাম, তিতুমীর হয়ে এসো
না হয় লা ওয়ারিশ কুকুরের মত আস্তাকুড়ে জায়গা  খুঁজে নিও
আমি ধ্বংস স্তূপের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকব !!