আজ এই গহীন তিলোত্তমা রাত
কোন এক ভিন গ্রহ থেকে নিয়ে আসা সোনামুখী সুই দিয়ে
যেমন
এক টানা বোনে যায় চিরতা আঁধার
একটু একটু করে লাঙলের ফলার মত করে এঁকে যায়  
নকশী কাঁথার সুরেলা জমিন
কেচু গণ্ডূষ প্রতিপাদ্য
চারপাশে কাক পক্ষীহীন নিরবতার লাল দালান
শুধু  
জানে না সে, বিন্দু-বিসর্গ কিছুই জানে না    
কার পাণি গ্রাহী হওয়ার আঁশে এই এক সাগর বুকে
এই নির্ঘুম চেয়ে থাকা
ছায়াহীন, মায়াহীন, ভাবলেশহীন
ধুন্ধুমার কল্পবিলাস
শুধু
মাঝে মাঝে দু’একটি জোনাক বাতি  
এক, দুইবার হুক্কাহুয়া
আচানক নেমে আসা মৃত উল্কার সরস ফসিল
আর
এই বুনো আমি ছাড়া আর কেউ কোথাও নেই
এই বিরহী নিশির যেমন অবাঞ্ছিত নীল আসমান ছাড়া
আর কেউ নেই
কেবল শুন্যতার চাদরে মোড়া ছোবল তক্তপোষ
আমারও তেমনি
একলা বেলা
মিছেমিছি শত কামনার সঙ সাজা
তবু
এই দু’চোখের মরচে ধরা লেন্স এখনও খুঁজে বেড়ায়
জালি লাউয়ের ডগার মত সেই কচি মুখ
উজাড় বাড়ির ডাকসই
সরষে ক্ষেতের আল
চালতা পাতার আলতা
ডুমুরের ফুল
আর
টুনাটুনির সংসারে
তোমার-আমার অজান্তে রচিত কিছু মহাকাব্যিক ভুল!