জানো, কাল শুকপাখিটা এসে বলে গেল  
তুমি নাকি এখনও সেই আগের মতোই আছো
এক চোখ মেলে আরেক চোখ বুজে ঘুমানোর সেই বাতিকটা
এখনো জোঁকের ভয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সেই দুঃস্বপ্ন
তোমাকে রোজ রাতে তাড়িয়ে বেড়ায়
এই সব একটানা বকতে বকতে আমাকে চুপ দেখে
তাকেও পেয়ে বসে সেই পুরনো খিটখিটে ব্যামো
অতঃপর
তো তো করতে করতে কী জানি একটা কঠিন গালি ঝেড়ে
পাদুকা নাচিয়ে নাচিয়ে চলে গেল
এই যে আমি একজন আটকপালে মানুষ
এতো করে বারংবার পিছু ডাকলাম
একটি বারের জন্যও সে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করল না
ঠিক যেন তোমার ছাঁচে গড়া!
জানি, এই সব ছাইভস্মের
এক কানাকড়ি মূল্যও তো তোমার কাছে নেই
তবু
এই সত্যক সারণি
এই জগদ্দল পাথর
বুকের উপর থেকে সরানোর বৃথা চেষ্টাই বাঁচিয়ে রাখে আমায়
নয়ত
এতদিনে সুইসাইড নোট বুকে চেপে ধরে
ধ্রুবতারার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তোমার
আর কিছুই করার থাকত না
আচ্ছা, তোমার চিরল দাঁতের মধ্যিখানের সেই তিলটা কি
এখনও আছে?  
মনে পড়ে তোমার? ওই রুপেই মজনু হয়েছিলাম!
হয়ত
আজো এই অবেলায়, কোন একাকী বিরান সময়ে
আমার অলক্ষ্যে তুমি কতবার এসে ফিরে ফিরে যাও
জোয়ার-ভাটার মত
তোমাকে চোরাবালিতে আটকাতে পারিনি বলে
নিজেকে কোনদিনও ক্ষমা করব না আমি
জানো, এখনো সেই আগের মতোই আমি কবিতা লিখি
তোমার পটলচেরা চোখ
সূর্য দীঘল কেশ
এখনও আমার কবিতার খোরাক যোগায়!!