ক’দিন আগে কথা বলেছিল একটা ভাঙা বোতলের কাঁচ
জলদ গম্ভীর স্বরে জানতে চেয়েছিল, কেমন আছি?
আমি কিছুই বলতে পারিনি, কোনোরকমে দু’হাতে মুখ ঢেকে
শুধু পালিয়ে বাঁচি!  
বলতে পারিনি, আমি বুজ্‌দিল!
শামুকের আত্মার মত পড়ে থাকি খড়ে মাটির খোলসে,  
এই আমার পৃথিবী!
আমাকে জিজ্ঞেস করে কোনও লাভ নেই!
আমি যেন ছকে বাঁধা নাটিকা,
বাক,অবাক,হতবাক,নির্বাক
আর
তালতলার কুয়োর ব্যাঙের মত আমার জীবনটীকা!  
আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় টিকটিকির কাটা লেজ, গোলমরিচের গুঁড়া,
আর
কাঁচা লংকা ক্ষেতের আল ঘেঁষে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাকতাড়ুয়া  
বোধ এবং অবোধের ঠিকানা হারিয়ে ফেলা  আমি
এখন টক-ঝাল বুঝি না  
তিন পুরুষ আগের আরশিতে কেবল নিজেকেই খুঁজি!


এই তো সেদিন, তখনও গোধূলি আসেনি
রেললাইনের দু’পাটি দাঁত উপড়ে ফেলল গুটিকয়েক রামছাগল
চৌরাস্তার ধারের নিভৃতচারী দেবদারু
আর কিছু বলদ শীল কড়ই খেয়ে ফেলল উলুখাগড়া  
আমি কিছুই বলতে পারিনি!
কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি রোদ-বৃষ্টির এই তামাশা!


আমার ভয় হয়
কেবলই ভয় হয়, যদি গায়ে লাগে নোনতা পানির ছিটা
ফুলের বদলে কেউ যদি ধরিয়ে দেয় অমানুষ বেলের কাঁটা
তারচেয়ে বাপু,
হারিয়ে ফেলব গর্ভধারিণী মায়ের প্রতিবাদী ভাষা,  
ভুলে যাব ভোরের নৈবেদ্য, দোয়েলের শিস, বাবার আশা!!