ঘুমিয়ে আছে কালশির স্রোত, জেগে নেই নবারুণ সেও;  
অবিকল যেন একটি মৃত ছায়াপথ
সূর্যের গা ঘেঁষে আরও----- ঘুমিয়ে আছে তুলারাশি,  
মুখরা চাঁদ সেও!  


এখন
নায়েগ্রা এসে বসায় সরোদের আসর,  
অযথাই লাফালাফি করে কুয়োর ব্যাঙ,
ভয়, আতংক খেলে
ছেলেখেলা, ----- আসমুদ্রহিমাচল!  
পৌষের রাত ডাকে, সীমান্ত সচল  
পচা-বাসি উষ্ণতা খুঁজে বেড়ায় ছুটির আঁচল,
তবু
কবিতার কোষে বিছিয়ে দেই জল নূপুরের মায়া কাজল!  


শুধু বলতে পারি না
এক প্রস্থ যামিনী, তবু কেটে যায়---  
কেবল
তোমার অবহেলার এইটুকু ক্ষণ কোনোমতেই কাটে না!


এই আমি,  যাযাবর আমি
আর
আমার নিখিল প্রেতাত্মা, ছায়া সময়,  
একসাথে গেঁথে চলেছি জলাঙ্গীর ঢেউ
যদি কোনো একদিন
মৃত আগ্নেয়গিরি জাগিয়ে দিতে আসে কেউ,
আসে কেউ---!!