আশেপাশে কেউ নেই
কেউ নেই ---
তীরহারা অন্ধ রাত!
তবু
ভোরের নৈবেদ্য দু’হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি প্রমাণ সময়;
কখন অবসান হবে ভৌতিক প্রহর?
কখন জেগে উঠবে পিপীলিকার ঘুমন্ত হাত?
এ যেন
মহাকালের নিকট থেকে ধার নেওয়া এক তিলক সময়ের
রুদ্ধদ্বার গোপন অভিসার,
যদিও
কোনোরকমে চলেও যাচ্ছে জীবন-মৃত্যুর এ অস্থি সন্ধি ক্ষণ!


ওই দেখো, চেয়ে দেখো---, আটকোরা বেতস লতা,
পঙ্গপালের মত ধেয়ে আসছে শীতল জলরাশি,
আঙুলের গিঁটে গিঁটে শুরু হয়েছে নামতার পাঠ,
কেঁদে কেঁদে উঠছে অপাংত্তেয় মর্মর উলঙ্গ পেরেক
আর
কচি কচি হাতের মুঠোয় ধরা চিরসবুজ প্রাণের
গডজিলা!


মনে রেখো,
এখানে
একদিন জমেছিল আজরাইলের লাল অভিধান!
যেখানে অদৃশ্য ছোঁয়াচে কালিতে লেখা
থেমে থাকা কালের হিসাব,
শুধু অপেক্ষার পাকদণ্ডী----বিবমিষা,
কড়ায়-গণ্ডায় আদায়ের অলিখিত মুচলেকা!


হয়ত একদিন মিটে যাবে এ জীবনের সকল লেন-দেন,
হয়ত ফুরোবে নৈমিত্তিক সকল অপ্রয়োজন
আধা-পাকা ভৌতিক ছায়া সন্তান!
তবু
এই বিষণ্ণ, হতাশ রাতের উপকথা,
লিখে রাখে কালান্তক ইতিহাস!
জেগে থাকে অষ্টপ্রহর
যদি
আলাদীনের চেরাগের মত কোন রূপকথা ফিরে আসে,
ফিরে আসে---!!