যে দিয়েছিল একঘটি জল, সে জানতো না
হলুদ কবিতার খাতা;
জানতো না
আকাশের নীলে,
নীল পাপারাজ্জির মতো
কিছু এক চক্ষু পাখি বসে আছে
তমালের মগডালে!
তারা না চিনতো কবিতা নামের
মেয়েটির গতর,
না জানতো যোগ-বিয়োগ, ভদ্র-ইতর;
কেবল
একগাল ভনিতা খেলিয়ে গেল
দু’পাটি দাঁতের ভেতর!
যদি এখন বিষণ্ণতার ম্লান আলোয়
ডুবে যায় সব অর্জন,
যদি সব আয়োজন, গঙ্গার জলে দেই বিসর্জন?
তবে কি সার্থক হবে
পাপারাজ্জির গুণের নামতা?
কে বলতে পারে, সে সুবোধ বালক?
এখনও
জন্মায়নি নাকের নিচে টিকটিকি;
কে বলতে পারে এখনও তাঁর উড়ুক্কু বোধ
সাপের তিন পায়ের মতো
উলুবনে খুঁজে বেড়ায় মিছে প্রবোধ!!