কে আছো, বটতলার পুঁথি নেবে? বটতলার পুঁথি---!
শুনো তবে কানে কানে বলি
এখানে এখন,
কামরাঙার নবীশ বীচির ভিতর বাস করে
জমকালো, রসালো চটকদার জলীয় জীবন!
এখানে
রোজই কপোত-কপোতীরা নরম-গরম মশলার
হাট বসায়!
মাঝে মাঝে খুনসুটি তেলে ভাজে আরশোলার ডিম
আর
বিষম খায়, কিছু কম জলের চুনোপুঁটি!
একদিন পৃথিবীর বুকে চেপেছিল মাকড়শার জাল,
নিরেট সুখে ভিজে গিয়েছিল জগদ্দল পাথর;
এবার প্রিয়তমার ঝাঁঝালো আসমানি মুখ দেখে
সব কিছু মনে হলো ডাইনামিক নির্ভেজাল!
শুনেছি আর ক’দিন পরে জমবে হাটতলা, বটতলা,
এককালীন নগদে বিক্রি হবে কাঁচাসোনা,
এই সব শুনে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল
আমার গৃহপালিত কিছু
কবুতরের দানব ছানা,
বেমালুম ভুলে গিয়েছিল--- তাঁরা যে রাতকানা!
আমি এখন কী করি, তেলাপোকার হাতে-পায়ে ধরি;
রাংসার জলে গেয়ে যাই জীবনের জয়গান!
না হয় পাঁজিতে খুঁজে পাইনি জন্মসাল! তাতে কী?