এক চুমুক ঘুমজল খেয়েছিলাম কাল,
দিয়েছিল ল্যাংটা বাবার এক জ্যান্ত কিংবদন্তি
সাগরেদ;  
ঘুম আসেনি!
শুনেছি সে এখন কাজলার বনে সরষে ক্ষেতের
লিলিপুট আলে দাঁড়িয়ে আছে;
আর
জমিলার মতো এই যে একহারা গড়নের
তালগাছটা,  
সেটি শিথানে দিয়ে ঘুমের আয়োজন করছে!


এক সময় এখানে উদিত হতো দিনের চাঁদ
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যেত রেশম হাত
আরও
একটু বাড়লেই ডেকে নিত ভাড়াটিয়া জোছনা রাত!


এখন চৌপর খালি পড়ে থাকে বেবাক পথ
কালের ঘড়িও ফিরে আসে না,  
বিধবা নাবালিকা জেগে থাকে রাতের পর রাত
ঈশ্বর খোঁজ রাখে না!
সেখানে আজন্ম জায়গীর থাকে হারাধন ভাই
পূর্ণিমার চাঁদ দিয়ে যায়
ক্ষুধার অন্ন
কেউ খোঁজ রাখে না!!