শীতল ঘুম ভাঙতেই দেখি
মাছরাঙার গায়েহলুদ,  
ভোরের নৈবেদ্য দু’হাতে নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে একাকিনী ভূতল,  
মন্দাকিনী ঘন কুয়াশার চিবুক!    


কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না
ভয়ংকর সুন্দরী কুহকিনী বেলা;
এই ফাঁকে তড়িত নিয়ে গেল
চুম্বকীয় আবেশ,
দিয়ে গেলো
এক চিমটি ঘরোয়া ভালোবাসা!  

পেন্ডুলাম দেহ ঘড়ির ভেতর
সহসাই খেলে গেল আদম-হাওয়া,
লজ্জায় দ্রুতই মুখ ফিরিয়ে নিল
নিরক্ষরেখা!  
হঠাত মনে হলো,  
কোথায় আছে তাপসী কিরণবালা?
একটু যদি ছুঁয়ে যেতো পড়শি চাঁদ,  
দিয়ে যেতো কুসুম গরম
এক মুঠো উষ্ণতা-----!