কখন যে এসেছিল একাদশী চাঁদের ঢেউ
আধ-ডোবা জল জোসনা,  
কোনদিন কেউ খুঁজ নিল না!  
তখন সে
পৈথানে রেখে গিয়েছিল প্রশান্তের ভাঙা বুক,
একদিন দু’আঙ্গুলে
আলগোছে তুলে ধরেছিল এই গাঙ্গেয় চিবুক!  


এখন সে তাল খুঁজে  বেড়ায় বেতালের কবরে,  
রাজপথ ধরা খায় কাগজের ভাঁজে,
গোকুলের খবরে; বেদনার পাথার লিখে রেখে যায়  
বটতলার পুঁথি,  
শ্রাব্য, অশ্রাব্য, পুঁথিগন্ধময় শ্রাবণ শৈলী!  


হেমলক ঘুমিয়ে আছে
আনকোরা ভাঙা রোদের ডালে, কাঁচা কাঁচা  
নির্জীব গেটর ঝুলে আছে একহাত প্রস্থ শিথানে,      
অবুঝ মাটিও ফ্যাল ফ্যাল চোখে চেয়ে থাকে
দূর্বাঘাসের দুয়ারী!


ক্ষণে ক্ষণে প্রলাপ বকে আনাড়ি পুতুলের মতো,  
পাহাড় ভাঙার মতো বুক ভাঙে
হাঙর-নদী-গ্রেনেড সবাই একসাথে কাঁদে
আর
তাদের সাথে,
এসে যোগ দেয়  
মেঘনার ঢল, শিথান-পৈথান সব এক সাথে!!