একদিন এক উর্বশী নোনতা জল
রোজই জাগিয়ে দিত পড়শি রাতের অনার্য ঘুম,
সমানে ঢেলে দিত শুরা আর সাকির
অবচেতন মদিরা; এমনি করে কুয়াশা রোদ
নিয়ে এসেছিল দ্রুত লয় ইন্দ্রধনু,  
কিছু জীবন্ত কবিতার ফসিল!  


আমিও কিছু বুঝে উঠার আগেই ডুবে মরেছিলাম,  
এই নোনতা জল জোসনা;  
কৃষ্ণপক্ষের কোনো এক বৃহস্পতি তিথিতে
সযতনে
একদিকে রেখে দিয়েছিলাম পাঞ্জাবির পকেট,
ছেঁড়া মাদুলির ঘেরাটোপ;
শ্যালা নদীতে ভাসমান মন্ত্রপূত জলের মতো
আমিও মেলে ধরেছিলাম  
চিদাম বুকের সব ক’টি স্ত্রৈণ পাঁজর!  


অতঃপর
সেই সে নোনতা জল,
একদিন সব কিছু ভুলে অবগাহন করে
উদোম কালের জলে, তালগোল পাকিয়ে দেয়
একহারা রঙিন চশমা;
হাজার বছর ধরে অযত্নে, অবহেলায় লালিত
আধ-মরা দীঘিকে মনে হয় আর্কটিকের
মহাসাগর!


যখন আমি ধরেই নিয়েছিলাম ভুল ভাল
সুদকষা,  
চাঁদবিহীন একলা দ্বিচারিণী মেঘলা আকাশ;  
ঠিক তখনই দেখি,
নতুন করে কেউ গাইছে উচ্চাঙ্গের সুর;
আমি কিছু বুঝতে পারি না!
কেবল
ভাবতে থাকি সাপের খোলস বদলানোর মতো
আমিও কী বদলে যাব?