কতো বারই তো হাঁটু পানিতে খেয়েছ
চেষ্টা জল! মনে করে দেখো,
বৈধব্যের শাদা শাড়ি শুকোতে দিয়েছ
বিপত্নীক তমালের ডালে; তাতে কী হয়েছে?
ভুলতে কি পেরেছ শারদ দূর্বাদল?  


সেদিনও আকাশ পড়েছিল কাজলের টিপ,
বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠেছিল
সা-রে-গা-মা -পা!
তখন অশ্রু লুকোতে ব্যস্ত ছিল অকাল-  
বৃদ্ধ দেয়াল ঘড়ি;
আর
আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না
তবে এই কী হল শুরু--
নাকি
শুরুর শেষ!


খুব আশা করেছিলাম, কেউ আসবে--
এসে বলে দিয়ে যাবে জগত্তারিনী!
তাই শিকে তুলে রেখেছিলাম একঘটি
মন্ত্রপুত জল,
একবার খেলে আর ভুলতে পারবে না
আমাকে!


অতঃপর
কোথা থেকে কী হলো?  
আমার মাটির ঘরে পাহাড় কাটা ইঁদুর
এলো,
সে এখন, আমার সেই মন্ত্রপুত জল করে
রেখেছে জবর-দখল;
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি বেনারসি শাড়ি,
ভালোবাসা ভালোবাসি
মুচকি হাসির জাঁতাকল!!