একটু আগেই দেখি কাঁদছে পাতাঝরা আকাশ,  
রঙধনু বর্ণমালা; আর
চম্পা-চামেলির গন্ধে আমারও ঘুম আসছিলো না!  


রেললাইনের স্লিপারের উপর দিয়ে হাঁটার সেই
পুরনো অভ্যাসটা আবার ফিরে এসেছিলো,  
একটু পর পর নাকের ভেতর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল  
কচু পাতা সুড়সুড়ি!  
বদহজমির ভয়ে কোনোরকম জড়সড় হয়ে আছি
একটি পরিত্যাক্ত কম্বল মুড়ি দিয়ে!


একবার ডাকতে এসেছিলো নবীশ তিলের পটলচেরা
শাদা চোখ,
সাথে কয়েকটি ডানাকাটা তিশি
আর দু'একটি  হলুদ গাঁদাও ছিল;
তবু আমি সাহস পাইনি!


একবার মনে হয়েছিলো চিত্রল মায়া হরিণ,
দু’দণ্ডের শান্তিদাতা বনলতা সেন;
আরেকবার মনে হলো, সে তবে কী কপালকণ্ডুলা?
জন্মান্তরে এসে বসে আছে----
আর কী তবে ভাঙবে না--- ভাঙবে না মোহ-মায়া,
বিড়াল তপস্বী ধ্যান!!