কেউ মনে মনে ভেবে বসে আছে অরুদ্ধ গগনচূড়া
আলতা রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে ফ্রয়েড ওহম,
ভুলে গেছে ছায়াসঙ্গীর পদধূলি, মৃম্ময়ী শীৎকার!  
আশে পাশে আরও যে থাকতে পারে
এঁটেল মাটির কুঁড়েঘর,  
সেখানেও কোনোরকমে ঢুকে যেতে পারে
বাণপ্রস্থ আলোকরশ্মি;
তার অতিকায় বোধ হাঁটে উল্টা পথে
পলক পড়ার আগেই বদলে ফেলে
সযত্নে লালিত দোয়েল চত্বর!    

একবারও ভাবে না, সবে তো নামতা শিখছি
এগারোর ঘর, তবে কেমন করে আক্কেল গুড়ুম
হই একশ তিনের ভেতর!  
ঝেড়ে কাশি দেই, ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে যাক
কাবিলের অন্তর!  

তবে কী ঘোর দেখছি আধ বোজা চোখ?
তবে কী অযথাই চাপিয়ে দিয়েছি পাষাণ,
এই নব পরিণীতা বকুল বুক!
হেনকালে আবার যদি দেখি টুইটুম্বর
কালের মুখ,  
তবে আর ফিরব না পিছু, ঢেলে দেব জল কাজল;
আর নিয়ে নেব এক বোতল আগরবাতি সুখ!!