দু’দণ্ডের ক্লান্ত পথিকবর বসে আছে আশ্রয়হীন,
ভাঙাচোরা রাজপথ; অদূরেই কর্তিত বিষবৃক্ষ, সযত্নে
লালিত তামাশার বালুচর!
চাল চুলোহীন বত্রিশ দাঁত খিলখিলিয়ে হাসে,
আনত লজ্জাবতী বৈকুণ্ঠের উইল;
কেউ জানে না
হেমন্তের প্রাণবায়ু একটু আগেই অগোচরে ফিরে এসে
আবার পালিয়ে গেছে!
বালির বাঁধের মতো ভেঙে যায় বসন্ত বাতাস
হৃদয়ের ভাঁজ খুলে বসে ঝরোকা বিষাদসিন্ধু;
কেউ জানে না
আড়মোড়া ভাঙছে অবচেতন শুকনো কেয়া পাতা;
দেখো, একদিন না একদিন কথা বলে উঠবেই
আশ্রয়হীন কবিতার খাতা! যেদিন এখন তাকিয়ে আছে
রাজভোগ মিষ্টান্নের ভাণ্ডার,
কেউ জানে না
সেদিনই একদিন ডেকে আনবে ছুটির ঘণ্টা
শারদীয় সরোদ আসর!
এখানে জীবন, কোনোরকমে আধা-খেঁচড়া টুনটুনি যাপন,
হর-হামেশাই বিদ্রোহ করে বসে নগদান বহি;
দু’চোখে কেবলই অন্ধকার নেমে আসে ব্রাহ্মলিপি!
উপর তলায় শোনা যায় নকল সোনার আগ্রাসন,
পুঁজিবাদ নেচে গেয়ে মাতিয়ে রাখে ভুখার আসর
কেউ জানে না
অনেকদিন পর পর ব্যাঙাচি জলের ভেতর ফুঁসে উঠে
নিভৃতচারী কবিতার পাণ্ডুলিপি!!